ঢাকা: চলচ্চিত্র ও নাট্যাঙ্গনের শক্তিমান অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি মারা গেছেন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির নতুন ৯/এ’র ৭২নং বাসায় তিনি মারা যান।
পারিবারিক একটি সূত্র জানায়, হুমায়ুন ফরিদী সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে রাজধানীর মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। দুই দিন আগে হাসপাতাল থেকে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানেই সোমবার সকালে বাথরুমে পড়ে মাথায় আঘাত পান তিনি। সেই আঘাতেই মারা যান হুমায়ুন ফরিদী।
তার বাসার কেয়ারটেকার রুবেল জানান, তিনি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফরীদিকে খুঁজতে তার ১বি ফ্লাটের দরজায় কড়া নাড়েন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে চলে যান। এরপর সকাল ১০টার দিকে শামিম নামে একজন তাকে ফোন করলে তিনি আবার সেই ফ্লাটে যান এবং কড়া নাড়েন। তাতেও কোন সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন বাথরুমে তিনি পড়ে আছেন। মূলত এরপরই তিনি অন্যদের ফরীদির মৃত্যুর খবরটি জানান।
দীর্ঘ সময় ধরে তিনি দেশের মঞ্চনাটক, টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কয়েক দশকের কর্মময় জীবনে হুমায়ূন ফরীদি নায়ক, খল, পার্শ্বচরিত্রসহ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তফার সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ ছিলেন। ২০০৮ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
ফরীদি অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে আছে, নীল নকশাল সন্ধানে (১৯৮২), দূরবীন দিয়ে দেখুন (১৯৮২), ভাঙ্গনের শব্দ শুনি (১৯৮৩), ভবের হাট (২০০৭), শৃঙ্খল (২০১০)।
এছাড়া সংশপ্তক নাটকে ‘কান কাটা রমজান’ ফরীদি অভিনীত জনপ্রিয় চরিত্র।
অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে আছে, হুলিয়া, দহন, সন্ত্রাস, ব্যাচেলর, শ্যামল ছায়া, জয়যাত্রা, আহা! প্রভৃতি।
১৯৫২ সালের ২৯ মে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন ফরিদী। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্র ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১২