ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

কলকাতার মঞ্চে গান গাওয়ার পর কেকের মৃত্যু

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৮ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২২
কলকাতার মঞ্চে গান গাওয়ার পর কেকের মৃত্যু কেকে ওরফে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ

কলকাতায় একটি কনসার্টে গান গাওয়ার পর মৃত্যু হলো হিন্দি গানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেকে ওরফে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের। মঙ্গলবার (৩১ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে মাত্র ৫৩ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এই তারকা।

তার মৃত্যুতে ভারতের সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সংবাদমাধ্যম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আনন্দবাজার জানায়, মঙ্গলবার কলকাতায় নজরুল মঞ্চে গানের অনুষ্ঠানে অংশ নেন কেকে। মঞ্চে গান গাওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।  

এদিকে কেকে-এর মৃত্যুর কারণ জানতে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।  

জানা যায়, দু’দিন আগে মুম্বাই থেকে কলকাতায় আসেন কেকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নজরুল মঞ্চে প্রবেশ করেন তিনি। হাজার হাজার দর্শকদের মাতিয়েছেন গানের মূর্ছনায়। এরপরই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

ভারতীয় চলচ্চিত্রর অন্যতম বহুমুখী গায়ক ছিলেন কেকে। ক্যারিয়ারে একাধারে হিন্দি, তামিল, তেলেগু, কন্নড় এবং বাংলাসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় গান করেছেন তিনি।  ‘দিল ইবাদত’, ‘আঁখো মে তেরি’, ‘জারা সা’, ‘তু যো মিলা’র মতো অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক ছিলেন তিনি।

কেকের জন্ম দিল্লিতে। তার আসল নাম কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ হলেও মানুষ কেকে নামেই চিনতেন। নয়াদিল্লীতে তার বেড়ে ওঠা এবং পড়াশোনা। বলিউডে কাজের সুযোগ পাওয়ার আগে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার জিঙ্গলস গেয়েছেন তিনি। ১৯৯৯ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য ‘জোশ অব ইন্ডিয়া’ গেয়ে দারুণ প্রশংসা পান। ১৯৯১ সালে ছোটবেলার ভালোবাসা জ্যোতির সঙ্গে ঘর বাঁধেন কেকে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২২
আরএ/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।