ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

কেকের হার্টের ৭০ শতাংশ ব্লকেজ ছিল!

বিনোদন ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২২
কেকের হার্টের ৭০ শতাংশ ব্লকেজ ছিল! কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (কেকে)

বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (কেকে) কলকাতায় গান গাইতে এসে ফিরেছেন কফিনবন্দি হয়ে। বৃহস্পতিবার (০২ মে) শেষকৃত্যও সম্পন্ন হয়েছে এই গায়কের।

তবে কেকের মৃত্যুর কারণ কী, তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।

কলকাতার নজরুল মঞ্চের সেই কনসার্টের আয়োজকদের দিকেও আঙুল উঠছে। অনেকে বলছেন, তাদের অব্যবস্থাপনার কারণে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিলেন কেকে।

তবে কেকের ময়নাতদন্তে থাকা এক চিকিৎসক বিষয়টি খোলাসা করেছেন। তিনি জানান, হার্টের ব্লকেজের কারণে কেকের মৃত্যু হয়েছে। তার হৃদযন্ত্রের বাঁ-দিকের ধমনিতে ৭০ শতাংশ ব্লকেজ ছিল। নাচ-গান করতে গিয়ে অতিরিক্ত উত্তেজনায় তার হার্টের ব্লকেজ বেড়ে যায়। এতে আচমকাই রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ায় কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়। ফলে চিকিৎসা শুরুর আগেই নিভে যায় কেকের জীবন জীবনপ্রদীপ।

কলকাতায় কনসার্ট করতে আসার আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন কেকে। তবে কনসার্টের জন্য অগ্রিম টাকা নেওয়ায় শেষ মুহূর্তে আর তা বাতিল করেননি।  

কেকের স্ত্রী জ্যোতিলক্ষ্মী কৃষ্ণা বলেছেন, মুম্বাই ছাড়ার আগে বারবার বলেছিল, শরীরটা ভালো নেই। আয়োজকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছি। তাই শেষ মুহূর্তে পারফর্ম না করে পারছি না। ওর (কেকে) হাতে ব্যথা ছিল। তখনো বুঝতে পারিনি, ওর শরীরে বড় রোগ বাসা বেঁধেছে।

নিজের অসুস্থতার কথা কলকাতার কনসার্ট আয়োজকদের জানাননি কেকে। এমনকি তার ম্যানেজার রীতেশ ভাটও জানতেন না।

এদিকে কেকে’র ম্যানেজার রীতেশ ভাট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালে প্রচণ্ড গরম ছিল। তিনি (কেকে) বারবার পানি খাচ্ছিলেন। টানা দেড় ঘণ্টা হাসিমুখে গেয়েছেন, দর্শকদের আবদার রক্ষা করেছেন।

কনসার্ট চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়লে হোটেলে ফিরে যান কেকে। রুমে ঢুকে সোফায় বসে বমি করেন। এরপর সেখানেই মুখ থুবড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২২
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।