এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার বেড়েছে। ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬২৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৯৯৭ জন।
পাসের হারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরাই এগিয়ে। মেয়েদের পাসের হার ৭১ দশমিক ৮৮ আর ছেলেদের পাসের ৭১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল প্রকাশের দশম বছরে পাসের হারের পাশাপাশি জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও বেড়েছে। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২০ হাজার ১৩৬ জন আর এবার পেয়েছেন ২৮ হাজার ৬৭১ জন।
৮টি বোর্ডের মধ্যে এবার শীর্ষে রয়েছে সিলেট বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৭৬ দশমিক ১২ শতাংশ। সবচেয়ে খারাপ করেছে দিনাজপুর বোর্ড, পাসের হার ৬৭ দশমিক ৫৪।
লক্ষণীয় বিষয় হলো, সব বোর্ডেই প্রথম স্থান দখল করে আছে ক্যাডেট কলেজগুলো। ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ এবার ঢাকা বোর্ডসহ সারা দেশে প্রথম স্থানের গৌরব অর্জন করেছে। এবার ময়মনসিংহ গার্লস কলেজ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৪৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাসের হার শতভাগ।
এছাড়া ঢাকা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ। তবে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে অনেক কলেজ যেমন সাফল্যের দিক থেকে সামনে এগিয়ে এসেছে, আবার অন্যান্য বছরে সফল হওয়া অনেক কলেজই পিছিয়ে পড়েছে।
এগিয়ে আসা কলেজগুলোর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে অষ্টম স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে চলে এসেছে হলিক্রস কলেজ, নবম স্থান থেকে চতুর্থ স্থানে উত্তরা মডেল কলেজ, দশম স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে রেসিডেন্ট কলেজ।
অপর দিকে ঢাকা বোর্ডে গতবারের তুলনায় এবার সাফল্যের হিসেবে পিছিয়ে পড়েছে নটর ডেম এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। নটর ডেম কলেজ গতবারের প্রথম স্থান থেকে চলে গেছে ষষ্ঠ স্থানে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ তৃতীয় স্থান থেকে চলে গেছে অষ্টমে।
এভাবে পিছিয়ে পড়া প্রসঙ্গে নটর ডেম কলেজের অধ্যক্ষ ফাদার বেঞ্জামিন ডি কস্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন ‘আমরা নটর ডেমিয়ানরা কখনোই শীর্ষে থাকার মোহ নিয়ে ছাত্রদের তৈরি করি না। এই বয়সী ছাত্রদের মধ্যে নানা ধরনের প্রবণতা থাকে। আমাদের কাজ হলো সেসব প্রবণতা থেকে ছাত্রদের মুক্ত রেখে সঠিক পথে চালিয়ে নেওয়া। ’
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৪৫০, জুলাই ১৬, ২০১০