সিলেট: দখল আর দূষণ থেকে আবহমান বাংলার নদীকে বাঁচাতে সিলেটের সুরমা নদীতে পুষ্পবর্ষণ করে জনসচেতনায় ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করলো পরিবেশবাদীরা। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে একহাতে ছাতা আর অন্যহাতে ফুল নিয়ে ঐতিহ্যবাহী চাঁদনীঘাটে সুরমার বুকে ভাসিয়ে দিলেন রঙ-বেরঙের পাপড়ি।
‘দখল ও দূষণের দৈত্যের হাত থেকে নদীকে মুক্তি দাও’ স্লোগানে নগরীর কিনব্রিজের নিচে চাঁদনীঘাটে এ কর্মসূচির আয়োজন করে পরিবেশবাদী সংগঠন অঙ্গীকার বাংলাদেশ। এর আগে সেখানে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
২৮ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব নদী দিবস’কে সামনে রেখে সিলেট ছাড়াও একযোগে টঙ্গীর তুরাগ, বরিশালের কীর্তনখোলা ও ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদেও একই ধরনের কর্মসূচি পালিত হয়েছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
অঙ্গীকার বাংলাদেশ এর সমন্বয়ক মইনুদ্দিন আহমদ জালালের সঞ্চালনায় সুরমা নদীতীরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সিলেটের প্রবীণ বামরাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার আরশ আলী, কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শুভেন্দু ইমাম, সিলেট ওভারসিজ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক শামসুল আলম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজিয়া চৌধুরী, তাহসীনা হক, নাঈমা আহমদ প্রমুখ।
সমাবেশে সভ্যতার প্রতীক বাংলাদেশের নদীগুলো আজ বিপন্নপ্রায় উল্লেখ করে দখল-দূষণের হাত থেকে নদীকে মুক্ত করতে সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন পরিবেশবাদীরা।
তারা আরো বলেন, সিলেটের সুরমা নদীর ঐতিহ্যবাহী চাঁদনীঘাট দিয়ে নদীতে ফেলা হয় নানারকম বর্জ্য। আমরা এসব বর্জ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে ফুলের পাপড়ি ফেলেছি। এ কর্মসূচির পর সুরমা নদীর অন্তত চাঁদনীঘাট দিয়ে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে উদ্যোগী হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমন আশা করেন তারা।
সমাবেশের পরই নদীতে ফেলা হয় পুষ্প। সবাই একসঙ্গে ফুলের পাপড়ি নদীতে ছিটিয়ে নদী দিবসকে বরণ করেন।
এ সময় সুরমায় ফুল ফেলে কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন আবৃত্তিকার অম্বরীশ দত্ত, নারী উদ্যোক্তা সেলিমা সুলতানা, আইনজীবী এ কে এম সামিউল আলম, মুহিতলাল ধর, কৃতিসুন্দর বড়ুয়া, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নুসরাত জাহান, পায়েল বড়ুয়া, নাগরিক মৈত্রীর আহ্বায়ক সমরবিজয় সী শেখর, যুব ইউনিয়ন সিলেট জেলার সভাপতি খায়রুল হাসান ও উন্নয়নকর্মী আশরাফুল কবীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৪