ঢাকা: বাবা আদ্রিয়ান মারে ও মা মিশেল মারে। একমাত্র সন্তান এমারসন।
অমনি পড়িমড়ি করে হাসপাতালে ছুট। এই টেস্ট, সেই টেস্ট। তিন দিন হাসপাতালে এমারসন, অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। বেঁচে থেকেও না থাকার মতো। নিথর হয়ে পড়ে আছে সে। ডাক্তারও কিছু বলতে পারছেন না। ওষুধপত্র চলছে। সেই সময়ের এক একটি রাত যেন তাদের জন্য দুঃস্বপ্ন!
এরপর কেটে গেলো এক বছর। এমারসন এখন বেশ সুস্থ। আগের মতোই হেসে-খেলে বেড়াচ্ছে। এর মধ্যে সে বড় ভাইও বনে গেছে।
এমারসনের এই ঘটনায় বড় মাপের এক ভাবনার উদয় হয় বাবা আদ্রিয়ানের মনে।
শোনা যাক তার মুখেই, খুব ভালোভাবে বুঝলাম যে আমরা কতো নশ্বর। যে কোনো সময় আমাদের সবকিছু থেমে যেতে পারে। তাই আমি এখন ওর শৈশবের সময়গুলো ধরে রাখার চেষ্টা করছি।
হ্যাঁ, এমারসন সুস্থ হয়ে ওঠার পর থেকে তার হাসিখেলার মুহূর্তগুলো ফ্রেমবন্দি করে রাখছেন বাবা। মানুষের নশ্বরতা ঠেকানোর তো সুযোগ নেই, যতটা পারা যায় স্মৃতিগুলো ছবিতে ধরে রাখা।
আর এমনিতেও শৈশব মানেই সবার কাছে একটি বিশেষ আবেগের জায়গা। ছোটবেলার সেই সোনালি দিনগুলোতে ফেরার আকাঙ্ক্ষা নেই, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
সেদিক দিয়ে আদ্রিয়ানের এই বিশেষ উদ্যোগ সব বাবা-মা’র কাছেই একটি বার্তা পৌঁছে দেয়। অনেকটা টাইম ট্রাভেলের মতো। সন্তানের শৈশবের মধ্য দিয়ে নিজেদের শৈশবে পরিভ্রমণ।
ফিরে আসি বাবা-ছেলের কথায়। বাবা আদ্রিয়ান ছেলের অনাবিল শৈশব মুহূর্তের ছবিগুলো তুলেছেন ক্যানন সিক্স ডি ক্যামেরায়। ১৩৫ লেন্সের এক একটি ছবির পরতে পরতে যেন ছড়িয়ে রয়েছে ছেলের জন্য বাবার ভালোবাসা।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৪