রাজবাড়ীর পদমদী ঘুরে এসে: মীর মশাররফ হোসেন। বিষাদ সিন্ধুর অমর এ স্রষ্টা বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম নাট্যকার ও উপন্যাসিক।
দুইশ বছর আগে আজকের রাজবাড়ীর পদমদী নামে এক পাড়া গায়ে বেড়ে ওঠা এ সাহিত্যিক জয় করেছেন কাল ও দেশের গণ্ডী।
মৃত্যুর প্রায় একশ বছর পর তার পৈতৃক নিবাস রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয় মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্র।
প্রতিষ্ঠার এক দশক পার হলেও এটিকে গবেষক ও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার কোনো চেষ্টা নেই সংশ্লিষ্টদের।
সম্প্রতি পদমদীর মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় অমর এ সাহিত্যিকের কবরসহ ভবনের নানা দৈন্যদশা।
স্মৃতিকেন্দ্র ঘুরে জানা যায়, ২০০১ সালের ১৯ এপ্রিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতি কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ২০০৫ সালের ২০ এপ্রিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এর উদ্বোধন করেন।
বাংলা একাডেমির তত্ত্বাবধানে থাকলেও কেন্দ্রটির পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বর্তমান কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার সময় এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সে সময় এটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণার অঙ্গীকার করা হয়। কিন্তু আজও সে ঘোষণা বাস্তবায়িত হয়নি।
কেন্দ্রটিতে রয়েছে ১০০ আসনবিশিষ্ট সুসজ্জিত সেমিনার কক্ষ, সংগ্রহশালা, দফতর, পাঠাগার, প্রায় দুই হাজার গ্রন্থ সংবলিত একটি গ্রন্থাগার, সহ-পরিচালকের কক্ষ, অভ্যর্থনা কক্ষ, বিশেষ অতিথি কক্ষ, অতিথি কক্ষ, আবাসন কর্মকর্তার কক্ষ, সহ আবাসন পরিচালকের কক্ষ, ডাইনিং ও কিচেন ও প্রসাধন কক্ষ।
তবে পুরো কেন্দ্রটি ঘুরে একটি কক্ষও খোলা দেখা গেলনা। প্রতিটি কক্ষই তালাবন্ধ। এছাড়া দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর টিকিটিও পাওয়া গেল না।
মূল ফটক গলে কেন্দ্রে ঢুকতেই গেট থেকে অনতিদূরে কমপ্লেক্স মূল ভবন পর্যন্ত মনোরম সড়ক। দুপাশে সুন্দর মাঠ। তবে সীমানা প্রাচীর জুড়ে ও আগাছা-জঙ্গলে এর সৌন্দর্য ঢাকা পড়েছে।
মূল ভবনের সামনেই আরেক ফটক। এর পাশে নিরাপত্তা প্রহরীর কক্ষ তালাবন্ধ। ভবনের সামনে দুপাশে আবর্জনা ও জঙ্গল প্রায় দেয়াল ছুঁতে শুরু হয়েছে। কতদিন এসব পরিস্কার করা হয় না তা হিসাবের ব্যাপার।
ভবনে ঢোকার পথটাও শ্যাওলা জমে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে গেছে। ভেতরে ঢুকে তাকাতেই দুপাশে সুনসান নীরবতা। ভবনটি অনেকটা ইংরেজি অক্ষর ‘আই’ এর মতো। দুপাশের টানা ভবনে পাঠাগার, অভ্যর্থনা কক্ষ, দফতর, সহপরিচালকের দফতর, আবাসন কর্মকর্তাসহ প্রতিটি কক্ষের দরজা-জানালার গায়ে ধুলো-বালি ও প্রায় মরচে পড়া তালা সাক্ষ্য দিলো কতদিন এগুলো এভাবে পড়ে রয়েছে।
ভবন পেরিয়ে সামনের ক্ষুদ্র আঙিনার দুপাশে ছোট্ট বাগান। মধ্যিখানে মীর মশাররফ হোসেনের বোঞ্জের আবক্ষ মূর্তি। কাছে যেতেই আশ্চর্য হলাম মীর মশাররফের মূর্তির মাথায় পাখির মল শুকিয়ে রয়েছে।
কিন্তু তাতে বাড়ির দায়িত্বে থাকা কর্মীদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। এর সামনে সাদা বেদী। বেদী শেষে বক্রাকার দেয়াল ঘেঁষা অপূর্ব নকশার স্থাপনা। বক্রাকার দেয়ালের সামনেই সাধারণ নকশায় চারটি সারিবদ্ধ কবর। এরই দ্বিতীয় (ডান থেকে) কবরে চির নিদ্রায় শায়িত কিংবদন্তির সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন।
ডান থেকে প্রথম কবরটি তার স্ত্রী বিবি কুলসুমের, তার পরের (তৃতীয়) কবরটি আরেক স্ত্রী বিবি খোদেজা বেগম এবং চতুর্থ কবরটি তার ভাই মীর মোকাররম হোসেনের।
কবরের ভেতরে বিশেষ করে মীর মশাররফের কবরে বড় আগাছা বেড়ে উঠছে। প্রতিটি কবরের চারপাশে ছোট ঘাস ও লতাপাতার জঙ্গল ক্রমেই কবরগুলো ঢেকে ফেলতে উদ্যত। পেছনের উঁচু বক্র দেয়াল ও সামনের বেদিতে শ্যাওলা জমে সাদা রঙ বিবর্ণ হতে শুরু করেছে।
ভবনের একপাশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কক্ষ। ভবনের পেছনের টানা অংশে দিয়ে দেখা গেল মল-মূত্রের দুর্গন্ধ। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এ ভবনে পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক বাথরুমের ব্যবস্থা থাকলেও তাও সবসময় তালাবন্ধ থাকে। ফলে বাধ্য হয়েই অনেক দর্শনার্থী আড়ালে-আবডালে প্রাকৃতিক কর্ম সারতে বাধ্য হন।
ভবনে ঘণ্টাখানেক অবস্থানকালে সাকুল্যে মাত্র ৫ দর্শনার্থীকে দেখতে পেলাম। যাদের দুজন আবার প্রেমিক যুগল।
বিষাদসিন্দুর রচয়িতার পৈতৃক ভিটায় গড়ে তোলা এ আধুনিক কেন্দ্রের দৈন্যদশা ও অযত্ন দেখে মনটা বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়লো।
আশা করছিলাম ফেরার পথে ভবনের কোথাও মন্তব্য বই বা এরকম কিছুর দেখা পাবো। তেমন কিছুর দেখা মিললো না।
ভবনের ফটক পেরিয়ে মূল ফটকের কাছাকাছি আসতে ফটকের পাশে বসে হাওয়া খাওয়া দুজনকে দেখে এগিয়ে গেলাম। নিজের পরিচয় দিতে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে জানালেন তারা এখানকার কর্মচারী।
একজনের নাম জিয়াউল আলম, তিনি স্থানীয় বাসিন্দা। অপরজন জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, তিনি হবিগঞ্জের বাসিন্দা, পাশেই ভাড়া থাকেন। তারা দুজনেই বাংলা একাডেমির কর্মচারী। এখানে ডেপুটেশনে আছেন।
ভেতরে না থেকে এখানে থাকার কারণ জানতে চাইলে জানালেন, ভেতরে কোনো কাজ নেই। তাই এখানে বসে আছেন।
কেন্দ্রের অযত্ন সম্পর্কে জানতে চাইলে জানালেন, তারা মাত্র দুজন মানুষ। দুজনে এত কাজ করা সম্ভব নয়।
মীর মশাররফের বেদী ও মূর্তির দৈন্যদশার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই জানালেন, ১৩ নভেম্বর আসলেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে।
ওইদিন কেন জানতে চাইলে উত্তর দিলেন, সেদিন মীর মশাররফের জন্মবার্ষির্কী। ঢাকা থেকে বাংলা একাডেমির শীর্ষ কর্মকর্তারাসহ অনেক অতিথি আসবেন। তখন সব ঝকঝক-তকতক করা হবে।
ঢাকা থেকে আসার অতিথিদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে আপনারা দুজনে পারবেন, এমন প্রশ্ন করতেই গুলির বেগে জবাব পেলাম, তারা আসার সময় সঙ্গে কর্মচারী-বাবুর্চিসহ সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে আসেন।
এই কেন্দ্রের দায়িত্বে কে আছেন জানতে চাইলে জানালেন, বাংলা একাডেমির প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক মো. নাসিরুল ইসলাম। তার সঙ্গে যোগযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বললেন, মীর মশাররফের জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকী ও কোনো আয়োজন ভিন্ন এখানে তিনি আসেন না।
মীর মশাররফ হোসেনের ওপর গবেষণা করতে এখানে কতজন গবেষক আসেন বা আছেন এমন প্রশ্নের জবাব শুনে আঁতকে উঠলাম। তারা জানালেন ২০০৫ সালের পর কোনো গবেষক আসেননি। তার মানে পূর্ণাঙ্গ গবেষণার সুযোগ ও উপাদান থাকার পরও অমর এ কথাসাহিত্যিকের স্মৃতিকেন্দ্রটি গবেষণা কেন্দ্র হয়ে ওঠেনি এখনো।
দর্শনার্থীদের জন্য এ কেন্দ্রের সুবিধাদি সম্পর্কে তারা জানালেন, শুধু বাংলা একাডেমি থেকে অনুমতি নিয়ে আসারাই এখানে আবাসন, খাদ্য ও লাইব্রেরি সুবিধা পান।
এখানে মীরের কোনো স্মৃতিচিহ্নও নেই বলে জানালেন জাহিদ। কিছু কিছু রয়েছে এখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তার মাতুলালয় কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়ার স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটিতে।
আশা করেছিলাম, পদমদীর জমিদারী থাকায় মীর বংশের কিছু স্থাপনা পদমদীতে দেখা যাবে। কিছুই না পেয়ে বরং জানা গেল, মীরের স্মৃতিকল্পে তার নামে ৮ কিমি দুরের সোনাপুর বাজারের পাশে মীর মশাররফ হোসেন ডিগ্রি কলেজ রয়েছে। ১৯৯৪ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অটোরিকশাতে করে কলেজে গিয়ে দেখা গেলা, দ্বিতল দুইটি ভবন ও একটি টিনশেট একতলা।
কলেজ ক্যাম্পাসের একপাশে মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি পাঠাগার। দ্বিতল এ ভবনটি করা ২০১০ সালে। কলেজ খোলা থাকলেও আধুনিক পাঠাগারটি দেখা গেলে তালাবদ্ধ অবস্থায়।
এদিকে, পদমদীর স্থানীয় বাসিন্দারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, প্রতিদিনই হাতে গোনা কয়েকজন দর্শনার্থী এখানে আসেন। কিন্তু যাতায়াতে নির্দিষ্ট কোনো পরিবহন না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হয়।
স্মৃতিকেন্দ্র ঘুরতে আসা প্রেমিক যুগল জানালেন, তারা পাশের একটি এলাকা থেকে এসেছেন। এখানে কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি ও কর্মী স্বল্পতার কারণে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা। তাদের দাবি এখানে কেন্দ্রটি ছাড়াও পদমদী নবাব স্টেটের বাকি জমি জবরদখল হয়ে গেছে। এগুলো উদ্ধার করা প্রয়োজন।
এদিকে, পদমদীবাসীসহ রাজবাড়ীর বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পদদমদীতে মীর মশাররফ হোসেন নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
এতে এ অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্রটি হয়ে উঠবে একটি পূর্ণাঙ্গ গবেষণা ও পর্যটন কেন্দ্র। এতে মীরের সৃষ্টি পাবে নতুন মাত্রা। নতুন প্রজন্মের কাছে অমর এ সাহিত্যস্রষ্টাকে নতুন করে তুলেও ধরা যাবে।
এ দাবির পক্ষে এর আগেও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বরাবর দাবি, স্মারকলিপি প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে মাঝে-মধ্যেই বিভিন্ন উদ্যোগে মানববন্ধন ও সভাসহ নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
জেলা সচেতন মহল মনে করেন, মীর মশাররফের স্মৃতিকে অমর করে রাখতে তার পৈতৃক নিবাসে গড়ে তোলা স্মৃতি কেন্দ্রটিতে লোকবল ও দর্শনার্থীদের সেবা প্রদান বৃদ্ধি করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এর পাশাপাশি পদমদীতে তার নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার ওপর গবেষণা বৃদ্ধি ও এ অঞ্চলের শিল্প-সংস্কৃতির প্রসার ঘটানোর সুযোগ রয়েছে।
১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর মীর মশাররফ হোসেন কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে নানা বাড়িতে জন্ম নেন। তার পৈতৃক নিবাস রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে। তার বাবার নাম সৈয়দ মীর মোয়াজ্জেম হোসেন ও মায়ের নাম দৌলত নেছা। ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর পদমদীতেই কালজয়ী এই সাহিত্যিকের মৃত্যু হয়। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে বিবি কুলসুমের সমাধির পশ্চিম পাশে সমাহিত করা হয়।
মীর মশাররফ হোসেনের রচনাবলী:
উপন্যাস: বিষাদ সিন্ধু, গাজী মিয়ার বস্তানী, উদাসীন পথিকের মনের কথা (আত্মজীবনীমূলক) তহমিনা উল্লেখযোগ্য।
গল্প: রত্নাবতী, এসলামের জয়, প্রেম পারিজাত উল্লেখযোগ্য।
নাটক: জমিদার দর্পণ, বসন্তকুমারী, বেহুলা গীতাভিনয় উল্লেখযোগ্য।
প্রহসন: এর উপায় কি, টালা অভিনয়, নিয়তি কি অবনতি, ভাই ভাই এই ত চাই উল্লেখযোগ্য।
কাব্য: বিবি খোদেজার বিবাহ, মদীনার গৌরব, মোসলেম বীরত্ব, গোরাই ব্রিজ উল্লেখযোগ্য।
কীভাবে যাবেন: দেশের যেকোনো জায়গা থেকে রাজবাড়ী শহরে গিয়ে সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা (রিজার্ভ) করে সরাসরি পদমদী যাওয়া যায়। প্রায় ঘণ্টাঘানেক পথের ভাড়া পড়বে ১৫০-২০০ টাকা।
এছাড়া বাসে বা অটোরিকশায় রাজবাড়ীর-কুষ্টিয়া রোডের কালুখালী উপজেলার কলিকাপুরের মহিমশাহী বাজারে নেমে সেখান থেকে অটোরিকশায় যাওয়া যায়। এতে ভাড়া পড়বে (রিজারর্ভ) ১০০ টাকার মতো। সরাসরি কোনো সার্ভিস না থাকায় নিজস্ব পরিবহন বা রিজার্ভ বাহন সঙ্গে থাকা উচিত।
সাপ্তাহিক বন্ধ: সরকারি ছুটি অনুযায়ী শুক্র ও শনিবার এবং যেকোনো সরকারি ছুটিতে বন্ধ থাকে এ স্মৃতিকেন্দ্র।
খাবার ও অন্যান্য সুবিধা: এখানে খাবারের কোনো ব্যবস্থা নেই। পদমদী থেকে দুই কিমি দুরে আনন্দবাজারে ছোট হোটেল রয়েছে। আর রাতযাপন করতে চাইলে রাজবাড়ী শহরে যেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৪