ঢাকা: ‘কাকিগোরি’। এটি একটি জাপানি খাবারের নাম।
বাংলাদেশে এটি তৈরি ও চালু করার সম্ভাবনা ভিয়েতনামে সফরে গিয়ে গিয়ে দেখেছিলেন বাংলাদেশের স্থপতি মীর আল আমিন। পরে নারিকেল-জেলা হিসেবে পরিচিত বাগেরহাটে এই খাবার বাণিজ্যিকভাবে তৈরি শুরু করেন তিনি।
অর্থায়নে এগিয়ে আসে পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।
এখন ঢাকায় এই খাবার নিয়ে আসা হয়েছে। শীত মৌসুমের পরেই ঢাকার ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে খাবারটি ছড়িয়ে দেয়া হবে।
বাংলাদেশের বাগেরহাটের তৈরি এই কাকিগোরি খাবারের মেন্যতে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিতে পারবে বলে মনে করছে এর উৎপাদক প্রতিষ্ঠান হ্যাবিট্যান্ট অ্যান্ড ইকোনমি লিফটিং প্রোগ্রাম (হেল্প)।
এই মুহূর্তে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে গ্রামীণ পণ্যমেলায় কাকিগোরি পরিবেশন করা হচ্ছে। নারিকেলের দুধ এর মূল উপাদান। এর সঙ্গে লিচু সহ বিভিন্ন ফ্লেভার যোগ করে শরবতের মত এক গ্লাস কাকিগোরি তৈরি হয়।
যার দাম চল্লিশ টাকা।
হেল্প-এর জেনারেল মার্কেটিং ম্যানেজার নাজমুল হোসেন সুমন বলেন, কাকিগোরি মূল উৎপত্তিস্থল বলা হচ্ছে ফিলিপাইন। সেখান থেকে এটির চল হয় ভিয়েতনামে। সেখানে শত শত বছর ধরে নারিকেল দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। পিকেএসএফের অর্থায়নে এটি তৈরির রেসিপি নিয়ে আসা হয়েছে বাংলাদেশের বাগেরহাটে।
এটি এর ভেষজ গুণের জন্য দূরপ্রাচ্যের দেশগুলেঅতে খুবই জনপ্রিয়। অন্ত্রের ক্যানসার প্রতিরোধক এটি জাপানেও স্বীকৃত ও সমাদৃত।
এখন বাগেরহাট থেকে প্রাণ, এগ্রো, একমি, প্রমিসহ অসংখ্য কোম্পানি হেল্প-এর পণ্য নিচ্ছে।
ভোক্তা পর্যায়ে কাকিগোরিকে জনপ্রিয় করার জন্য কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন এই প্রযু্ক্তি দেশে জনপ্রিয় করতে এখন তারা কাজ করছেন।
শীত মৌসুম পরেই ঢাকার দোকানগুলোতে ও ফাস্টফুডের দোকানে এটি পাওয়া যাবে। হেল্প জানায়, বাগেরহাটে একটি নারিকেল পণ্য শিল্প কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। নারিকেল দিয়ে তৈরি ৬টি পণ্য এখন তারা তৈরি করছেন। প্রায় ৩০/ ৩৫টি পণ্য তৈরির পরিকল্পনা তাদের রয়েছে।
নাজমুল হোসেন সুমন আরও জানান, এখন বিএমডব্লিউ গাড়ির বডি তৈরি হচ্ছে নারিকেলের আঁশ বা ফাইবার থেকে । নেপালে এবং কোরিয়ায় তারা নারিকেলের ফাইবার পাঠিয়েছেন। এখন জাপান এবং রাশিয়াতে নারিকেল ফাইবার পাঠানোর ব্যাপারে কথা হচ্ছে।
পিকেএসএফ-এর ডিএমপি ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ‘লারনিং অ্যান্ড ইনোভেশন ফান্ড টু টেস্ট নিউ আইডিয়া’ নামে একটি তহবিলের আওতায় কাকিগোরি তৈরি করা হচ্ছে। তিন জানান, দেশে প্রচুর নারিকেল হয়। উপকূলীয় অঞ্চলে নারিকেল একটি নিরাপত্তা বেষ্টনীর মত কাজ করে। উপকূলীয় নারিকেল থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা যায়। এটা তার একটি উদাহরণ।
কাকিগোরির উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার স্থপতি মীর আল আমিন বাংলানিউজকে জানান, তারা গত ৫ বছর ধরে কাকিগোরি তৈরি করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৪