ঢাকা: ভাবুন, আপনি সিটে বসা আর সাইকেলের পিছনে জুড়ে দেওয়া হয়েছে তিনটি রকেট ইঞ্জিন। সাইকেল ছুটছে ঘণ্টায় ৩৩৩ কিমি গতিতে! একই দূরত্ব পাড়ি দিতে ফেরারি এফ৪৩০ লাগিয়ে দেবে ছয় সেকেন্ড বেশি।
যত যাই হোক, বাজি ধরে বলতে পারি, এক বাক্যে না করে দেবেন আপনি। এমন ‘রকেট সাইকেল’-এ আপনি কল্পনাতেও চড়তে চাইবেন না। জীবনের মায়া বলে তো একটা ব্যাপার আছে নাকি!
তবে আপনি না চাইলেও, ফ্রান্সিস গিজি নামে এক ফরাসি বাস্তবেই এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন। সম্প্রতি ফ্রান্সের লা ক্যাটালেট মোটর রেসিংয়ে ঘণ্টায় ৩৩৩ কিমি গতিতে সাইকেল চালিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন তিনি। মাত্র ৭ সেকেন্ডেই ছুঁয়ে ফেলেন ফিনিশ লাইন।
তবে এ রেকর্ডের গল্পে দু’জন নায়ক। একজন ফ্রান্সিস, অন্যজন ‘রকেট সাইকেল’। এই অন্যজন সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক, সাইকেলে এমন অবিশ্বাস্য গতি আনতে ইঞ্জিনে ৯০ শতাংশ ব্যবহার করা হয়েছে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড। সাইকেলের বাকি অংশ হাতেই বানিয়েছেন ফ্রান্সিস। ফ্রেমগুলো তার এক স্প্যানিশ বন্ধুর সাহায্য নিয়ে বানানো। রকেট ইঞ্জিনটির নকশা করেছেন নেরাচার আর্নল্ড।
এবার আসি আরেক নায়ক ফ্রান্সিসের কথায়। হঠাৎ কেনই বা এই বিপজ্জনক কাণ্ড ঘটাবার কথা তার মাথায় এলো! ব্যাপারটি আর যাই হোক, নিছক ‘মজা’ নিশ্চয় ছিল না।
শোনা যাক তার মুখেই, হ্যাঁ, খুব বড় ধরনের ঝুঁকি ছিল এটি। তবে এজন্য রাস্তার মসৃণতাকেও একটা বড় ধন্যবাদ দিতে হয়। কারণ সামান্য এদিক-ওদিক হলেই আমি রীতিমতো উড়ে যেতাম!
আর বিশ্ব রেকর্ড? এজন্য আমি তিনবার মহড়া দিই। প্রথমে ঘণ্টায় ১৬৬ কিমি গতিতে চালিয়ে ভারসাম্য ঠিক করে নিই। এরপর ২৬০কিমি এবং শেষে নিজের গড়া আগের রেকর্ডটি ভাঙতে সোজা ৩৩৩। দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিল সেটি, যোগ করেন ফ্রান্সিস।
এর আগে, ৩২ বছরের এ দুঃসাহসী ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর সুইজারল্যান্ডে ঘণ্টায় ২৮৫ কিমি গতিতে সাইকেল চালিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৪