ঢাকা: কারো স্কুল শেষ, কারো কাজ। তাই জমিয়ে চলছে খেলা।
শহরে খেলে অবসর কাটানোর স্থানের খুব অভাব। তবু একটু সুযোগ পেলেই খেলতে বসে যায় শিশু-কিশোররা। এটা তাদের সহজাত প্রবৃত্তি।
রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর বেড়িবাঁধ এলাকায় মার্বেল খেলতে দেখা গেলো শিশু-কিশোরদের। ময়লাকুড়ানি কিংবা স্কুল শিক্ষার্থী- সবাই মিলে মিশেই চলে খেলা। খেলায় মেতে তাদের মলিন মুখগুলো হয়ে ওঠে চাকচিক্যময়।
খেলা শুরু হচ্ছে। বালি মাটি মেশানো উঁচু-নিচু জায়গা। মার্বেল খেলার জন্য বেশ উপযুক্ত। মাটিতে গর্ত, বাঁক থাকলে খেলাটা বেশ জমে।
ময়লা থেকে বিভিন্ন জিনিস কুড়ানোর ফাঁকে খেলায় যোগ দিয়েছে শিশুটি। খেলা শিশুদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। শিশুটির হাসিমুখ সেটা যেনো অনেকটা প্রমাণ করে।
মার্বেল চালার মধ্যে একটা আর্ট থাকা চাই। চালার উপরই নির্ভর করে মাটিতে কেমনভাবে সেজে থাকবে মার্বেলগুলো। শিশুটি যেনো সেই কসরতই করছে।
বাজারে পাওয়া এখনকার মার্বেলগুলো একটু বেশিই রঙিন। যে রঙিন শিশুদের রঙিন মনকে আরও রাঙিয়ে তোলে। তাদের মনেরই প্রতীকী রূপ বলা যায় মার্বেলগুলোকে।
মার্বেল ছোড়ায় আমিও কম নই...! ছেলেটি যেনো সেটিই বোঝাতে চাচ্ছে সঙ্গীদের। ভালো করে পজিশন মতো মার্বেল ফেলেতে পারায় কৃতিত্ব আছে। দান ভালোভাবে পড়লে লক্ষ্যে পৌঁছুতেও সুবিধা।
এবার প্রধান মার্বেলটি দিয়ে লক্ষ্যে পৌছুনোর পালা। তাই তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সামনে। এটাই শেষ ধাপ। টার্গেট মার্বেলে লাগাতে পারলে সবগুলো মার্বেল তার। তাই সবার অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টি মার্বেল আর মূল গুটির দিকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৪