ঢাকা: একটি প্রবাদ রয়েছে ‘চোখ হলো আত্মার জানালা’। তাই চোখ যে কারও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দেয় বা অন্যভাবে বলা যায় যে কোনো ব্যক্তির চোখ দেখেই তার সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়।
কেবল তাই নয় একইসঙ্গে চোখের রঙ ব্যক্তির স্বাস্থ্য সম্পর্কেও তথ্য জানায়।
নানা ধরনের জিন আমাদের চোখের রঙ নির্ধারণ করে থাকে। অতীতে ধারণা করা হতো, কেবল দুইটি জিনের কারণে চোখের রঙ নীল এবং কালচে হয়ে থাকে।
কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ১২ থেকে ১৩টির বেশি জিনের প্রভাবে আমাদের চোখের রঙ ভিন্নতা পায়। এমনকি আমাদের দৈহিক আচরণের পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করেও এই রঙ পরিবর্তিত হয়।
লিভারপুল জন মোরেস ইউনিভার্সিটির বায়োমলিকুলার সায়েন্স বিভাগের সিনিয়র লেকচারার ডা. জেরি লোহিলেনেন’র মতে, আমাদের চোখের রঙ কালচে হওয়ার সঙ্গে এনসিএক্স-৪ জিনের সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া ত্বক, চুল এবং চোখ প্রতিটির রঙ নির্ধারণের পেছনেই রয়েছে মেলানিন। এর পরিমাণই নির্ধারণ করে একটি শিশুর চোখের রঙ সবুজ, নীল নাকি বাদামী হবে।
মেলানিনের পরিমাণ অনেক বেশি হলে চোখের রঙ বাদামী, কম থাকলে সবুজ বা ঘোলা হয় এবং একেবারেই না থাকলে চোখ নীল রঙের হয়ে থাকে। তবে প্রতিটি মানুষের চোখের রঙই স্বতন্ত্র। কিন্তু জিন, রোগ এবং বয়সের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতি নিয়ত রঙেরও পরিবর্তন হতে থাকে। আর এর মধ্য দিয়েই প্রকাশ পায় অনেক তথ্য।
ব্যক্তিত্ব
অস্ট্রেলিয়ায় পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের চোখের রঙ হালকা তারা কিছুটা কট্টর মনোভাবের হয়ে থাকেন এবং প্রতিযোগিতা প্রবণ। বিষয়টি ব্যক্তিত্বেরই অংশ। অস্ট্রেলিয়ার দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩৬ জন অংশগ্রহণকারীদের ওপর গবেষণা চালানো শেষে পাওয়া যায়, উত্তর ইউরোপীয় নীল চোখের মানুষের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ান কালচের মানুষ তুলনামূলক বেশি নমনীয়। তবে তারা মনে করেন এ ক্ষেত্রে আরো বেশি গবেষণার দরকার।
ধারণা করা হয় নীল চোখের মানুষদের তুলনায় বাদামী রঙের চোখের মানুষ বেশি বিশ্বাসী হয়ে থাকেন। সম্প্রতি ৪০ জন পুরুষ এবং ৪০ জন নারীর ওপর করা
একটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে তবে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাও এ ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৪