ভালোবাসার জীবনে বড় বাধা হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোন। প্রিয়জনের সান্নিধ্যের চেয়ে স্মার্ট ফোনেই আজ বেশি সময় কাটছে।
এতে পারিবারিক জীবন ও সম্পর্ক ঝুঁকিতে পড়ছে।
গুরুত্বপূর্ণ কোনও সাংসারিক আলাপেও স্বামীকে স্ক্রিনে ব্যস্ত থাকতে দেখা যাচ্ছে। আর এই সমস্যা এখন গোটা পৃথিবী জুড়ে।
কেবল যে ঘরে বা বিছানায় তাই নয়, রেস্টুরেন্টে দুজনের ডিনার কিংবা লাঞ্চ এখন আর জমছে না এই মোবাইল ফোনের কারণে। মুখোমুখি বসে তার ব্যস্ত থাকছেন যে যার নিজের ডিভাইসে।
যুক্তরাজ্যের ওই গবেষণায় ১৪৩ দম্পতির সঙ্গে কথা হয়। তারা অনেকেই জানান, অনেক আগেই কম্পিউটার এসে এই সম্পর্কে ভাটা ধরাতে শুরু করে। এখন আরও বড় সঙ্কট জন্ম দিয়ে এসেছে মোবাইল ফোন।
গবেষণায় দেখা গেছে- দুজনেরই অবসরেরে দারুন সময়েও ফোন নিয়েও ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। অন্তত ৬২ শতাংশ নারী বলেছেন, দিনে অন্তত একবার এমন পরিস্থিতির মুখে পড়ছেন তারা।
৪০ শতাংশ নারী বলেছেন, তাদের স্বামী কিংবা বন্ধুটি দিনে অন্তত একবার কথা বলার সময় টেলিভিশনে মনোযোগী হয়ে পড়েন। আর এক তৃতীয়াংশই বলেছেন, একসাথে খেতে বসে দিনে অন্তত একবার তাদের স্বামী মোবাইল ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
উত্তরদাতাদের এক-চতুর্থাংশ বলেছেন, মুখোমুখি কথার বলার সময় তাদের সঙ্গীটি মোবাইল ফোনে টেক্সট কিংবা ই-মেইল পাঠান।
অধিকাংশই মনে করেন, এই মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য প্রযুক্তি পারিবারিক সম্পর্কে বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনছে। জীবনের সন্তুষ্টিও এতে দিন দিন কমছে।
বাংলাদেশ সময় ১২৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৪