ঢাকা: সম্প্রতি ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একশোরও বেশি প্রাচীন কবর খুঁড়ে পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। পরীক্ষা করে জানা গেল, কবরগুলো রোমানদের।
ইতিহাসবিদরা বলছেন, সেইন্টেস অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ২৫০ মিটার দূরের এ জায়গাটিতে সে সময় গ্ল্যাডিয়েটর আর বন্যপ্রাণীদের মধ্যে লড়াই হতো।
তখন দাস প্রথার জয়জয়কার। যেখানে রাজ-রাজড়া ও তাদের কিছু অনুচর-সহযোগী বাদে বাকি সবাই ছিল দাস।
দাস মালিকদের হৃদয়হীন অত্যাচারের কথা আমরা জানি। তারপরও, এই ফেসবুক-টুইটারের যুগে বসে অনেকেই হয়ত ভাবতেই পারবেন না, কী অমানুষিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে দাসদের জীবন শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে পশুদের যেমন গলায়-পায়ে বেড়ি পরিয়ে রাখা হয়, এর চেয়েও খারাপ অবস্থা ছিল তাদের।
ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখা যায়, অত্যাচারের বিভৎসতা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে দাস মালিকরা রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নামত। তুচ্ছ কারণে বর্বর কায়দায় শারীরিক নির্যাতনের পর জীবন্ত কবর দেওয়া ছিল নিত্যনৈমত্তিক ঘটনা।
ঠিক এরকমই সমাজ ব্যবস্থা ও সময়ের কবর খুঁড়ে মিলল পাঁচটি কংকাল। এর মধ্যে চারটি প্রাপ্ত বয়স্ক ও একটি শিশুর দেহাবশেষ।
মজার ব্যাপার হলো, খুঁড়ে পাওয়া এ পাঁচটি দেহাবশেষ দেখেই বোঝা যায় তারা দাস ছিল। কারণ, তাদের গলায়, হাতে ও পায়ের গোঁড়ালিতে এখনও লোহার বেড়ি পরানো। বেঁচে থাকতে ছিলেন দাস। কিন্তু মৃত্যুর পরেও মেলেনি মুক্তি!
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৪