ঢাকা: পানাম নগর। রাজধানীর অদূরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত ঐতিহাসিক স্থান।
তৎকালীন সময়ের সেসব স্থাপনা ধ্বংস হওয়ার পর উনিশ শতকের দিকে নির্মিত হয় নতুন সব বাড়ি-ঘর। সেগুলোর বয়সও নিতান্ত কম হলো না।
পানাম নগরের টিকে থাকা পুরাতন ভবনগুলোর অবস্থা এখন নাজুক। যেকোনো মুহূর্তে পড়তে পারে ধসে।
তৎকালীন সময়ের নব্য ধনী হিন্দু ব্যবসায়ীরা এ নগর গড়ে তুলেছিলেন বলে জানা যায়। নগরীর ভিতরে আবাসিক ভবন ছাড়াও রয়েছে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, মঠ, গোসলখানা, নাচঘর, পান্থশালা, চিত্রশালা, খাজাঞ্চিখানা, দরবার কক্ষ, গুপ্ত পথ প্রভৃতি।
দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ নগরী দর্শণার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। তবে নিষেধ ভারি যানবাহন নিয়ে ঢোকা।
ভারি যানবাহন চলাচলে মাটিতে বেশি কম্পনের সৃষ্টি হয়। এতে নড়বড়ে হয়ে থাকা ভবনগুলো ধসে পড়ার আশঙ্কায় ভারি যানবাহন চলাচলে এ আদেশ।
পানাম নগরের সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। নড়বড়ে পুরাতন ভবনগুলো যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে।
নগরীর ইতিহাস-ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ সরকার পানামকে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের অধীনে নিয়েছে। টিকে থাকা ভবনগুলোর মধ্যে বেশ কিছু ভবন সরকারিভাবে সংস্কারও করা হয়।
কিছু ভবন সংস্কার না করে শুধু ভবনগুলোর ভিতরে প্রবেশ বন্ধ রাখতে দরজা-জানালা বাইরে আটকে রাখা হয়েছে। ভবনগুলোর আরও সংস্কার করা প্রয়োজন।
বেশি পুরোনো ভবনগুলোর দরজা-জানালা বহু আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে। কালের সাক্ষী হিসেবে অনেক ভবনের শুধু কঙ্কালটুকুই অবশিষ্ট রয়েছে।
স্থানীয় মানুষ ও শিক্ষার্থীরা জানান, পুরাতন ভবনগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। তাছাড়া বাইরে থেকে দর্শণার্থীরা আসেন বাড়িগুলো দেখতে।
তারা আরও জানান, কিছু ছিন্নমূল মানুষ ভবনগুলোতে বসবাসও করছেন। ভবনগুলো ধসে পড়লে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৪