ঢাকা: আপনি হাঁটছেন, আপনার পিছন পিছন আসছে কেউ। তাকালেন, নাহ কেউ নেই।
মেরুদণ্ড বেয়ে যেন ওঠানামা করছে শীতল হাওয়া। দরদর ঘামের মধ্যেও শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। অবস্থা আরও বেগতিক হলে চারদিক থেকে হাহা-হিহি কিংবা বিকট চিৎকারও শুনতে পারেন।
হয়ত ভাবছেন, এখনই কোনো ভূতের গল্প ফাঁদব। ঠোঁট বাকিয়ে বলবেন, এ আর নতুন কী!
বলি, পুরোটাই নতুন। এ কোনো গল্প-কাহিনী নয়, পুরোটাই বাস্তব। বিশ্বের সবচেয়ে আতঙ্কের জায়গাগুলো দেখে নিন, তারপর সাহসে কুলালে নিজেই না হয় ঘুরে আসবেন!
চৌশিলা সেমেট্রি
একে উন্মুক্ত কবরস্থান বলাই ভালো। খোলা আকাশের নিচে উন্মুক্ত নাজকা সভ্যতার এ কবরস্থানটি খ্রিষ্টাব্দ ১০০০ সালে বানানো হয়। তখন থেকেই মমিগুলো একই অবস্থাতেই আছে। হঠাৎ দেখলে মনে হবে, এখনই উঠে দাঁড়িয়ে কথা বলা শুরু করবে! এমনকি তাদের কাপড়গুলো পর্যন্ত এখনও অবিকৃত রয়ে গেছে। ব্যাপারটা যেন এমন, নাজকা সভ্যতার মানুষেরা অমর! চৌশিলা সেমেট্রি দেখতে চলে যান পেরুর নাজকা লাইনে।
জ্যাকব ওয়েল
চারদিক সবুজাভ শ্যাওলায় ঘেরা, মাঝখানে টলটলে জল। দেখলেই মন চাইবে ঝাঁপিয়ে পড়তে। আর এই মনের টানেই প্রাণ গেছে অনেকের। বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ মানুষ, সবার কাছে এ এক রহস্য, কী আছে সেখানে! অনেকের ধারণা, চোরাবালির মতোই এটা এক ধরনের চোরাজলের কুয়া। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মিলবে জ্যাকব ওয়েল।
স্টাল সেমেট্রি
কথিত আছে, এটি সপ্ত নরকের অন্যতম একটি প্রবেশদ্বার। স্থানীয়দের ভাষ্য, বছরে দু’বার দুষ্ট আত্মারা এখানে ঘুরতে আসে। এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ অবশ্য নেই। তারপরও তাদের ধারণা, দুষ্ট আত্মারা জাগতিক নানাবিধ প্রতিশোধ নিতেই ফিরে আসে। এদের সঙ্গে আপনার কোনো বোঝাপড়া থাকলে ঘুরে আসুন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাস সিটিতে।
অ্যাকোদেসেওয়া ফেটিশ মার্কেট
টোগোর এ বাজারটি জাদুবিদ্যার বাহারি সব সরঞ্জামে ভর্তি। আগ্রহ থাকলে ঘুরে আসতে পারেন। মিলবে মন্ত্রতন্ত্রের পুতুল, জীবজন্তুর খুলিসহ নানা কিছু।
ক্যাটাকম্বস অব প্যারিস
আগেই সতর্কবাণী শোনাই, দূর্বল হৃদয়ের অধিকারী কারো এখানে না যাওয়াই ভালো। কারণ ৬০ লাখ মানুষের হাড়ের এ সমাধিঘরটি আর যাই হোক, কোনো আনন্দ-বিনোদনের স্থান হতে পারে না! পুরো ঘরটাই বিষাদগ্রস্ত। লাখো মানুষের জীবন এসে থেমে গেছে এখানে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৪