ঢাকা: আপনি কি বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম স্থানে ভ্রমণ করতে চান? না, কোনো অগ্নিকুণ্ডে ঢোকার দরকার নেই, প্রয়োজন নেই সূর্যপানে ওঠার। সোজা চলে যান ইরানে।
ইরান থেকে ইরানের এক প্রান্তের ডেসাট-ই লুট মরুভূমিতে। ডেসাট-ই লুট বালুকাময় এবং বালুকাদাযুক্ত লবণাক্ত ভূমির মরুভূমি।
এর অবস্থান ইরানের কেরমানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত।
এখানে দেখা মিলবে সারিবদ্ধ ক্ষয়প্রাপ্ত টাওয়ার ও দেয়াল। মরুরবুকে উঁচু এ স্তম্ভগুলোর গঠন ভ্রমণপিয়াসীদের দেবে আলাদা অনুভূতি।
ডেসাট-ই লুট পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম স্থান। একই সঙ্গে এটি ইরানের সবচেয়ে নিম্নভূমিতে অবস্থিত।
সমুদ্রসমতল থেকে এর উচ্চতা মাত্র ৫৬ মিটার। এখানের তাপমাত্রা অনেক সময় ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে দাঁড়ায়।
পুরো এলাকাটি জুড়ে যদি আপনি এক ফোঁটা পানির চিহ্ন পর্যন্ত না পান তাহলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। এটা বিশ্বের ২৫তম বড় মরুভূমি।
এ মরুভূমিটি তিন ভাগে বিভক্ত। পশ্চিম, কেন্দ্রীয় ও পূর্ব। পশ্চিম দিকটা অধিকাংশটা জুড়ে বালুর পাহাড়। কেন্দ্রীয় অংশ মরুভূমির সবচেয়ে বড় অংশ। এটি সমতল, বালিয়াড়ি এবং তিন ভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিচু।
সবশেষ, পূর্বাংশটি বড় বড় বালিয়াড়িতে ভরা। এ অংশে পৌঁছানো একটু কঠিন।
ডেসাট-ই লুট এর বালির দুর্গগুলোকে বলা হয় কালুটস। এগুলো দেখতে পাওয়া যায় ৪০ কিলোমিটার পূর্ব এবং উশাহবাদের উত্তর-দক্ষিণাংশে অবস্থিত।
এই বালির টাওয়া বা বালিয়াড়িগুলো দুর্গের মতো আগলে রেখেছে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার।
মাত্রারিক্ত তাপমাত্রার জন্য ডেসাট-ই লুটকে বলা হয় ‘গ্যানডম বেরিয়ান’ বা ভাজা শস্য। কখনো-সখনো এই তাপমাত্রা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়, যেটা সৌদি আরবের ডেথ ভ্যালির চেয়ে বেশি।
এখানে ভ্রমণ করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে একজন গাইড নিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪