ঢাকা: সাপের খেলা আমাদের দেশের লোক ঐতিহ্যের অন্যতম এক প্রতিনিধি। নগরমুখী সভ্যতার যুগে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে এ স্মৃতিমধুর খেলা।
তারপরও নানাভাবে-নানারূপে গ্রামে-শহরে কোনোরকম এটি টিকে রয়েছে। খেলার মূল কারিগর মানে সাপুড়েরাও বদলে ফেলেছেন কৌশল।
আগে দেখা যেত, শুরু থেকে শেষ অব্দি নানা ঢংয়ের সাপের খেলা দেখাতেন তারা। খেলা শেষে উপস্থিত যে যা দিত তাতেই তারা খুশি।
সময় পাল্টেছে, তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে সাপের খেলার ধরন। এখন খেলার চেয়ে ওষুধ বিক্রি করাটাই প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের নজর কাড়তে একটু খেলা দেখিয়েই শুরু হয় ওষুধ বিক্রির আয়োজন।
নানা চটকদারিতে ঠাসা কথার ফুলঝুরিতে তারা বিক্রি করেন বিভিন্ন গাছ-গাছড়া, শেকড়-বাকড়। বলে থাকেন, এগুলো সর্পরাজের অব্যর্থ ওষুধ। সেবনে মিলবে স্থায়ী যৌবনসহ সাংসারিক সুখ-সমৃদ্ধি।
তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, নিরক্ষর ও অল্প শিক্ষিত মানুষদের চটকদারি কথায় ভোলানো সহজ। তারা এ জাতীয় প্রতারণার ফাঁদে সহজে পা দেন। সাপুড়েদের ওষুধের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
রাজধানী ঢাকা থেকে এরকমই ওষুধ বিক্রির মুহূর্তগুলো ফ্রেমবন্দি করলেন আলোকচিত্রী নাজমুল হাসান। দেখে নিই ছবিগুলো।
ওষুধ বিক্রির প্রস্তুতি পর্ব। হাতের মুঠি খুললেই নেমে আসবে সর্পরাজের অভিশাপ, ঘটবে বড় কোনো ক্ষতি!
সর্পরাজ অনুমতি দিলেই তবে মুঠি খোলা যাবে!
সর্পরাজের আশীর্বাদধন্য কোনো জাদুবস্তু!
বিদঘুটে আঁকিবুঁকি যেন লুকিয়ে রয়েছে গোপন কোনো মন্তর!
মুঠি খুললেই বিপদ!
এই সেই কাঙ্ক্ষিত মুশকিলে আসান!
টাকা না দিয়ে গেলে মিলবে সর্পরাজের অভিশাপ!
বাংলাদেশ সময়: ০০১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৪