ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

১০ বছর ধরে তোলা আল্পস চূড়ার ছবি

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৪
১০ বছর ধরে তোলা আল্পস চূড়ার ছবি ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বছর দশেক আগে ক্যান্সারে মারা যান জন গ্রিফিথের মা। সেই থেকে শুরু।

এরপর ভুবন বিখ্যাত আল্পসের এক চূড়া থেকে অন্য চূড়া ঘুরে বেড়িয়েছেন।
ইচ্ছে ছিল, আল্পসের উঁচু উঁচু সব চূড়ার ছবি তুলবেন। তাতে যত সময় লাগে লাগুক। আর লেগেছেও! অবশেষে ১০ বছর ব্যয় করে তুলেছেন আল্পস চূড়ার নয়নজুড়ানো সব ছবি।

এ দুঃসাহসিক অভিযান নিয়ে একটি বইও লিখেছেন ৩২ বছর বয়সী এ পর্বতারোহী। বইয়ে ছবি, আইসগ্লাইডিং ও প্যারাগ্লাইডিংসহ নানা বিষয় স্থান পেয়েছে।  


গ্রিফিথ ছবি তোলা শুরু করেছেন ১৩ হাজার ফুট উপর থেকে। তারপর বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে পৌঁছেছেন ১৫ হাজার ৭শ’ ফুটে উঁচুতে গিয়ে। এর মধ্যে ছবি তোলা থামেনি। যত এগিয়েছেন ততই বেড়েছে আল্পস চূড়ার সংগ্রহশালা।    


গত ১০ বছরে ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও ইতালির আল্পস অংশের মধ্যেই অভিযান চালিয়েছেন গ্রিফিথ। এরপর পৃথিবীর নানা প্রান্তের চূড়ার ছবি তোলারও ইচ্ছে রয়েছে।


ছবিগুলো তুলতে গ্রিফিথের সঙ্গী ছিল ক্যানন ৫ডি মার্ক থ্রি ক্যামেরা। বিশ্বাসী বন্ধুর মতোই ক্যামেরাটি আল্পসের অনন্য সাধারণ ছবিগুলো ফ্রেমবন্দি করেছে।


আল্পসকে কে তো সবাই চেনেন, দুনিয়াজুড়ে তার নাম। কিন্তু এত কষ্ট করে যিনি ছবিগুলো তুলেছেন, শোনা যাক সেই গ্রিফিথ কী বলছেন।
এগুলো বলা যতটা সহজ, কাজটা ঠিক ততটাই কঠিন। তুষারঝড় আর অসহ্য ঠাণ্ডা সহ্য করে কিভাবে যে এতগুলো বছর কাটিয়েছি, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না!


আর আমি বরাবরই নতুন কিছু করতে চেয়েছি। আগে তোলা হয়েছে এমন কোনো চূড়ার ছবিও আমি তুলিনি, যোগ করেন তিনি।

সবশেষে তার ভাষ্য, গত ১০ বছরে এমন অনেক ম‍ুহূর্ত গেছে যখন একটু এদিক-ওদিক হলেই নিশ্চিত মৃত্যু হতে পারত! তারপরও আমি পিছু হটিনি। তবে এটা ভেবে ভালো লাগছে যে, এতদিনের অভিজ্ঞতা আমি বইয়ের মাধ্যমে পর্বতপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি।  

বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।