ঢাকা: সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমার কথা সবার মনে থাকার কথা! মনে থাকলে গুপী-বাঘা আর হীরক রাজার সঙ্গে হীরার খনিতেও নিশ্চয় গিয়েছেন। গিয়েছেন মানে, দেখেছেন।
সিনেমাতেও দেখেছেন, খনিতে হীরা আসলে পাথরের গায়ে লেগে থাকে। এক-দু’কেজি ওজনের এক একটি পাথরে বড়জোর ১০-২০, ১শ’-২শ’ বা খুব বেশি হলে হাজার! তাও মেলা ভার।
তবে শুনুন, সম্প্রতি রাশিয়ার একটি খনিতে দুই-আড়াই কেজি ওজনের একটি পাথরে কতগুলো হীরা মিলেছে আন্দাজ করতে পারেন? ৩০ হাজার!
না, মোটেও ভুল শোনেননি। চোখ কপাল থেকে নামিয়ে আবার পড়ুন, গুনে গুনে ৩০ হাজার হীরা পেয়েছেন স্থানীয় খনি শ্রমিকরা।
এ খবর শুনে শুধু আপনি কেন, পোড় খাওয়া সব হীরার খনি বিশেষজ্ঞদেরও চক্ষু ছানাবড়া। তারাও দুর্লভ এ কাণ্ড শুনে তাজ্জব বনে গেছেন।
একইভাবে বিস্মিত যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-বিজ্ঞানী ল্যারি টেলরও।
শোনা যাক তার মুখেই, আমি এটাকে প্রকৃতির এক অপার বিস্ময়ই বলব। ধারণা করছি, প্রকৃতির বিশেষ কোনো প্রক্রিয়ায় পাথরের টুকরোগুলো একসঙ্গে হীরায় পরিণত হয়েছে। যদিও কিভাবে হয়েছে এটা বলা কঠিন।
বিজ্ঞানের জনপ্রিয় পত্রিকা লাইভ সায়েন্স জানাচ্ছে, এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে গোটা পাথরটাই হীরায় পরিণত হওয়ার কথা। কিন্তু তা না হয়ে বরং ৩০ হাজার হীরকখণ্ড এক হয়ে যেন একটি পাথরে রূপ নিয়েছে।
এক একটি হীরকখণ্ড এক থেকে ছয় ক্যারাট ওজনের বলেও জানায় লাইভ সায়েন্স।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৪