ঢাকা: পথ লিখলে পথিকের কথা আসে। চলতে চলতে পথিক ক্লান্তি ভুলতে পথিমধ্যেই একটু জিরিয়ে নেবেন, আবার শুরু হবে নতুন উদ্যমে পথচলা।
আর পথিমধ্যে জিরিয়ে নেওয়ার কথা যখন আসে, তখন সবার আগে চোখে ভাসে যাত্রী ছাউনির ছবি। পথের ধারে যাত্রী ছাউনির ব্যাপারটা বেশ ঐতিহ্যবাহী। বহুকাল ধরেই বিশ্বের নানা প্রান্তে এর চল।
সময় বদলেছে, তার সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে সভ্যতার রূপরেখা। এতকিছু এলো-গেলো, তবু নতুন-পুরনো নানাভাবেই বিশ্বের নানা প্রান্তে থেকে গেছে যাত্রী ছাউনি।
সেটারই খোঁজ দিলেন মার্কিন আলোকচিত্রী রায়ান ফোর্ড। ৩২ বছর বয়সী এ আলোকচিত্রী গত পাঁচ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭টি অঙ্গরাজ্য ঘুরে ফ্রেমবন্দি করেছেন অনন্যসুন্দর সব যাত্রী ছাউনির ছবি।
আপাতত ছবিতেই দেখে নিন, সময় করে কোনোদিন বেরিয়ে পড়বেন যুক্তরাষ্ট্রের পথে। হাঁটতে হাঁটতে পা আর না চললে চিন্তা কী, আছে তো যাত্রী ছাউনি! প্রথম পর্বের ছবিগুলো দেখে নিন।
টেক্সাসের পথে-প্রান্তরে একটু জিরিয়ে নিতে বিগ বেন্ড ন্যাশনাল পার্কের কাছে পেয়ে যাবেন এ যাত্রী ছাউনিটি।
নিউ মেক্সিকোর দ্য হোয়াইট স্যান্ড ন্যাশনাল মন্যুমেন্ট, চলতে ফিরতেই পেয়ে যাবেন।
টেক্সাসের সোনোরা, বিশ্রামের সঙ্গে সঙ্গে চোখের আরামও মিলবে।
নিউ মেক্সিকো গেলে যেকোনো খারাপ আবহাওয়ায় সবচেয়ে ভালো আশ্রয় হবে ক্লিন কর্নার্সের কাছে এ যাত্রী ছাউনিটি।
নেভাদায় অস্টিনের পথে প্রান্তরে। হ্যাঁ, এটা ঠিক পথে না বলে প্রান্তরে বলাই ভালো। তবে পথের পাশেই।
নিউ মেক্সিকোর এ পথ ধূলোমাখা নয়, বরফে মোড়ানো। পেছনে পাহাড়, সামনে নজরকাড়া ছাউনি, আর কি চাই!
এটাও নেভাদায়, ওয়াকার লেকের কাছে।
বৃষ্টি আর বরফে একটু অ-রোমান্টিক হয়ে উঠলেও, ওকলাহোমার এ ছাউনিটি বসন্তে বেশ প্রেমময়।
ছাউনিটি অ্যারিজোনার পেট্রিফায়েড ফরেস্ট ন্যাশনাল পার্কে। দেখতে একটু কাটখোট্টা লাগলেও, কাজে দেয় বেশ।
টেক্সাসের বার্লেসনের কাছেই মিলবে দৃষ্টিনন্দন এ ছাউনিটি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৪