ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

সম্প্রীতির রেস্তোরাঁ!

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৫
সম্প্রীতির রেস্তোরাঁ!

‘দিকে দিকে নাগিনীরা ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস’
—কবি ভুল বলেন নি। মানুষে মানুষে কতো হানাহানি, সংঘর্ষ, সহিংসতা আর রক্তপাত।

জাতিতে জাতিতে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে চলছে বিদ্বেষ, হিংসা আর ঘৃণা। কখনো জাতের নামে নামে চলছে বজ্জাতি, কখনো ধর্মের নামে অধর্ম। তারই ভয়াবহতম নজির প্রতিদিনই দেখিয়ে চলেছে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিদের পাখির মতো গুলি করে, তাদের বাড়িঘর বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দিয়ে, সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে সেখানে ক্রমাগত ইহুদি বসতি গড়ে তুলে নৃশংসতা ও বর্বরতার ষোলকলা পূর্ণ করছে তারা।

পশ্চিমারাসহ গোটা দুনিয়া ও আরববিশ্ব সবাই নিছক দর্শকের মতো তাকিয়ে দেখছে কেবল। কারণ পশ্চিমাদের মিত্র ইসরায়েলকে ঘাঁটায় সাধ্য কার! এই রকম ‘মাৎস্যন্যায়’ যখন চলছে তখন কিছু মানুষ অন্তত নীরব প্রতিবাদের শিখা জ্বালিয়ে রেখেছেন। অনেক বিবেকবান ইহুদিও ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি তাদের রাষ্ট্রের নারকীয় জুলুমকে আর মেনে নিতে পারছেন না। তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ না হলেও সংখ্যাটা একেবারে কমও নয়। এরই এক উজ্জ্বল নজির দেখালেন এক ইসরায়েলি রেস্তোরাঁমালিক। ওই লোক চান ফিলিস্তিনি আরব ও ইসরায়েলিদের মধ্যে বৈরিতা ও হানাহানির বদলে জন্ম নিক সহমর্মিতা, বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতি। তাই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, আরব ও ইসরায়েলি খদ্দেররা যদি তার রেস্তোরাঁয় এক টেবিলে বসে খাবার খান তাহলে  ৫০% ডিসকাউন্ট পাবেন। টাইমস অব ইসরায়েল খবরটির শিরোনাম করেছে: ‘Israeli Restaurant Offers Discount to Arabs and Jews Who Sit Together.’

রেস্তোরাঁটি ইসরায়েলের উপকূলীয় শহর নেতানিয়ায়। এর নাম ‘হাম্মাস বার’ ( Hummus Bar)। রেস্তোরাঁমালিকের বক্তব্য হচ্ছে, তার কাছে আরব বা ইসরায়েলি বলে কেউ নেই। তার কাছে সবাই মানুষ। এটাই সবার আসল পরিচয়। নজরুলের কবিতায় ঘোষিত বাণীরই অনুরণন যেন: ‘নাই দেশকাল পাত্রের ভেদ /অভেদ ধর্ম-জাতি’। একই সঙ্গে আরেক বাঙালি কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের লেখা কবিতার বাণীর মূল সুরটাও যেন ধ্বনিত এই বিবেকবান ইহুদির বক্তব্যে স্পষ্ট: ‘...ভেতরে সবার সমান রাঙা’!

বাংলাদেশ সময়: ০৩২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৫
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।