ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

বর্ষায় জেলে, শুকনায় কৃষক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৫
বর্ষায় জেলে, শুকনায় কৃষক ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কিশোরগঞ্জ: হাওরাঞ্চল বছরের বারো মাসের পাঁচ মাস থাকে বর্ষার পানিতে ডুবে। এরইমধ্যে পাঁচ মাস অতিবাহিত।

সেই অথৈ পানিতে ডুবে থাকা হাওর শুকিয়ে এখন রূপ নিয়েছে চাষযোগ্য জমিতে।

আর ক’দিন পরেই হাওরে শুরু হবে কৃষকদের ব্যস্ততা। যারা বর্ষায় নৌকা নিয়ে মাছ শিকার করতেন, তারা আগামী সাত (কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন, চৈত্র ও বৈশাখ) মাস জমিতে কৃষিকাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন।

এদের ভিতর কেউ নিজের জমিতে ফসল ফলাবেন, আবার কেউ অন্যের জমিতে খাটবেন বর্গা। বর্ষায় যারা জেলে, শুকনো মৌসুমে তারা রূপান্তরিত হবেন পুরোদস্তুর কৃষকে।
সরেজমিন হাওর‍াঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩ উপজেলার অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন ও নিকলী হাওরবেষ্টিত। এসব উপজেলার জমি প্রতিবছর বর্ষায় (জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন মাস) পানিতে ডুবে থাকে। এসময় হাওরের জেলেরা নৌকায় জাল নিয়ে হাওরে মাছ শিকার করে।

পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে হাওরে মাছের আকাল চলছে। তবু কেউ কেউ এখনো সেখানে ছুটছেন মাছের পিছে।

অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের চৌদন্ত গ্রামের শুক্কুর চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বাইস্যায় (বর্ষায়) মাছ ধইরা খাই, শুকনায় খেতে (জমি) আল-চাষ (হাল-চাষ) কইরা খাই। হের ল্যাইগা শহরের মানুষ আমরারে কয়, বর্ষায় আমরা জেলে, শুকনায় কৃষক।

নিকলী উপজেলার ছাতিরচর ইউনিয়নের ফজলু মিয়া বলেন, আমাদের তো বছরে দুইডা কাল (ঋতু) বর্ষা ও শুকনা। বর্ষায় আমরা মাছ ধরি, শুকনায় জমিতে কাজ করি।
সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টারের কৃষি বিজ্ঞানী ড. নিয়াজ পাশা বাংলানিউজকে বলেন, হাওরের জেলে ও কৃষকরা ভাসমান শ্রম বিক্রেতা। তারা ধনাঢ্য মানুষের জলাশয় বা জমিতে মজুরিভিত্তিক কাজ করে। ভাসমান শ্রম বিক্রেতাদের জলাশয় ও জমিতে অধিকার দিলে হাওরের টেকসই উন্নয়ন এবং উন্নতি হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৫
ওএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।