ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

বিশ্বসেরা ১০ হন্টেড হাউজ (পর্ব ১)

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
বিশ্বসেরা ১০ হন্টেড হাউজ (পর্ব ১)

ভূত বিশ্বাস করেন? ভূত বা ভৌতিক গল্পের চাইতে লোমহর্ষক আর কী হতে পারে! বিশ্বাস করুন বা না করুন, প্যারানরমাল ঘটনায় কমবেশি সবারই কিন্তু গা শিউরে ওঠে। পুরনো জেলখানা, হাসপাতাল, চিলেকোঠ‍া ও পরিত্যক্ত বাড়ি; বিশ্বখ্যাত হন্টেড হাউজ বা হানাবাড়ি হিসেবে পরিচিত এমন দশটি জায়গা নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।




১০. বানফ স্প্রিংস হোটেল (আলবার্তা, কানাডা)
হোটেলটি ১৮৮৮ সালে নির্মাণ করা হয়। কানাডার প্যাসিফিক রেলওয়ের পাশে অবস্থিত এ হোটেলটি ট্রেনযাত্রীদের যাত্রাকালীন বিলাসবহুল বিশ্রামাগার হিসেবে পরিচিত ছিল। গত এক শতাব্দে এই হোটেলে অনেক ধরনের প্যারানরমাল ঘটনা ঘটেছে। ১৯৩০ সালে হোটেলে একটি জানালাবিহীন ঘর আবিষ্কৃত হয়। অনেকেই এখানে এক বিয়ের কনেকে দেখতে পেয়েছেন বলে জানান। জানা যায়, ওই কনে এই হোটেলেরই সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন। এছাড়াও দালানের ওপরতলার করিডোরগুলোতে এক চৌকিদারকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। হোটেলটির আটশ’ ৭৩ টি রুমই রহস্যে ঘেরা। এখানে পারিবারিক হত্যাকাণ্ডেরও কয়েকটি ঘটনা ঘটেছিল।


৯. চাতিয়্যু ডি ব্রিসিক (মেইন-এট-লোয়াইর, ফ্রান্স)
চাতিয়্যু ডি ব্রিসিক নির্মাণ হয়েছিল ১০০০ অব্দে। ১৪০০ সালে প্রাথমিকভাবে নির্মাণের পর বিভিন্ন সময়ে দালানটি ভিন্ন ভিন্ন গঠন ও ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিমালিকানার অন্তর্ভুক্ত হয়। বর্তমানে সুন্দর এই প্রাসাদটির ব্যবস্থাপক চার্লস আন্দ্রে ডি কজি ব্রিসিক। পাঁচশ’ বছর আগে এখানে দুই প্রেমিক-প্রেমিকা মারা যায়। বর্তমানে প্রাসাদটি ভ্রমণকালে দর্শনার্থীরা হুটহাট সেই সুন্দরী নারীর দেখা পান।


৮. ফোর্ট জর্জ (নোভঅ স্কটিয়া, কানাডা)
দুর্গটির বয়স ২৬০ বছরেরও বেশি। ইতিহাসে যুদ্ধের প্রয়োজনে দুর্গটি ব্যবহৃত হতো। সেভেন ইয়ারস ওয়ার, আমেরিকান বিপ্লব, ১৮১২ সালের যুদ্ধসহ আরো অনেক যুদ্ধে দুর্গটি ব্যবহৃত হয়েছে। ফোর্ট জর্জে অনেক দর্শনার্থী সৈন্যদের আত্মার দেখা পান। এছাড়াও নানা শোরগোল ও চেঁচামেচি শোনা যায় বলে লোকশ্রুতি রয়েছে। এখানকার দেয়ালও স্বয়ংক্রিয় উপায়ে ফিসফাস করে বলে দর্শনার্থীদের অভিমত।


৭. বোর্গভাটনেট (প্রশাসনিক অঞ্চল, সুইডেন)
১৮৭৬ সালে স্থাপিত এই বাড়িটি বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত হন্টেট হাউজ, যেখানে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক পর্যটক এসেছে। এই বাড়িতে এ পর্যন্ত যত লোক থেকেছেন প্রত্যেকেই কোনো না কোনো প্যারানরমাল ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা হলো: একবার এক ভদ্রমহিলা রাতে ঘুম থেকে উঠে দেখেন গেস্টরুমে তিনজন নারী বসে আছে। বাতি নিভিয়ে দিতেই ওই তিন নারীকে অনেক বেশি অস্পস্ট আর ঝাপসা দেখাতে লাগল। দর্শনার্থীর ভাষ্যমতে যা খুবই অস্বাভাবিক।


৬. টাওয়ার অব লন্ডন (লন্ডন, ইংল্যান্ড)
লন্ডনের টেমস নদীর উত্তর কিনারে অবস্থিত। ইংল্যান্ডের নরম্যান বিজয়ের অংশবিশেষ হিসেবে উইলিয়াম ১০৭৮ সালে এটি নির্মাণ করেন। প্রতিবছর এখানে দুই মিলিয়ন দর্শনার্থী আসেন। এই টাওয়ারে লন্ডনের বিখ্যাত কিছু ভূতের সাক্ষাত পাওয়া যায়। রাজা অষ্টম হেনরির শিরোশ্ছেদকৃত স্ত্রী অ্যান বোলেনকে—লেডি জেন গ্রের সঙ্গে সারা হলঘরময় ঘ‍ুরে বেড়াতে দেখা যায়।

দ্বিতীয় পর্ব আগামীকাল। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

দ্বিতীয় পর্ব পড়তে ক্লিক করুন

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
এসএমএন/টিকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।