ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

চিকিৎসাহীন বিরল পাঁচটি রোগ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
চিকিৎসাহীন বিরল পাঁচটি রোগ

পৃথিবীতে এমন অনেক রোগ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষ বলতে গেলে খুব একটা জানেন না। আজ আমরা এমন বিরল পাঁচটি রোগের কথা বলব, যেসব রোগের নাম খুব একটা পরিচিত নয়।

অথচ শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে এসব রোগ ভীষণ ভয়াবহ। এবং আরো খারাপ খবর হলো, এসব রোগের কোনো চিকিৎসা নেই।


১. প্রোজেরিয়া
অমিতাভ বচ্চন অভিনীত বলিউডের সিনেমা ‘পা’ দেখে প্রোজেরিয়া রোগ সম্পর্কে ভালো ধারণা পেতে পারেন। এটি একটি বিরল জেনেটিক ডিজঅর্ডার। এর ফলে ছোটবেলাতেই শরীরে বয়সের ছাপ পড়ে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জীবনকাল খুব কম হয়ে থাকে। এরা সর্বোচ্চ ২০ বছর বাঁচেন। মাথায় টাক পড়া, ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি, সীমিত বুদ্ধি, বাত এবং অস্টিওপরোসিস প্রোজেরিয়ার স্বাভাবিক লক্ষণ।


২. দ্য ভ্যাম্পায়ার সিনড্রোম
ভ্যাম্পায়ার কিন্তু বাস্তবেও আছে! আমাদের সঙ্গেই বসবাস করে তারা। যেসব ব্যক্তির ভ্যাম্পায়ার সিনড্রোম রয়েছে তারা সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির প্রতি সংবেদনশীল। কারণ এই রশ্মি তাদের সমগ্র এনজাইম সিস্টেম ধ্বংস করে ডিএনএ’র ক্ষতি করে। এই লক্ষণ যাদের রয়েছে তাদের স্কিন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।


৩. হাইপারট্রাইকোসিস
হাইপারট্রাইকোসিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মুখমণ্ডল ও দেহে অস্বাভাবিক লোম দেখা দেয়। মূলত জিনের পরিবর্তন হওয়ার কারণে এমন ঘন লোম গজায়। এটি ওয়েরউল্ফ সিনড্রোম নামেও পরিচিত। তবে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এই রোগের এখন পর্যন্ত কোনো চিকিৎসা নেই।


৪. এপিডার্মোডাইপ্লেসিয়া বা ট্রি ম্যান ইলনেস
এপিডার্মোডাইপ্লেসিয়া একটি বিরল চর্মরোগ যা ট্রি ম্যান ডিজেজ নামে পরিচিত। এতে বিশেষত হাত ও পায়ে আঁশযুক্ত গাছের বাকলের মতো অংশ গজায়। সাধারণত বংশগত কারণেই মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। দেখতে ভয়ানক, তবু সত্য এই যে, এ রোগেরও কোনো চিকিৎসা আবিষ্কার হয়নি।


৫. কটার্ড ডিলিউশন
ভ্যাম্পায়ার ও উল্ফ দিয়েই শেষ নয় এবার আসি সত্যিকার জম্বির প্রসঙ্গে। এই রোগটি ওয়অকিং কর্পস সিনড্রোম হিসেবে পরিচিত। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজেদের মৃত মানব বলে মনে করেন। এটি এক প্রকার মানসিক রোগ। আক্রান্ত ব্যক্তিরা ভাবেন তাদের দেহটি প্রাণহীন। নিজের শরীরের ওপর সমস্ত ভালোবাসা তারা হারিয়ে ফেলেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নিজের স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে তারা উদাসীন হয়ে পড়েন।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
এসএমএন/টিকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।