ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

ফিচার

বায়তুল মোকাররমে ধনী-গরিবের অন্যরকম ইফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৬
বায়তুল মোকাররমে ধনী-গরিবের অন্যরকম ইফতার ছবি: দীপু মালাকার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রমজান আসলেই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মাসব্যাপী ইফতারের আয়োজন করা হয়। ধনী-গরিব, পথচারী, ভিনদেশী কিংবা ছিন্নমূলসহ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে সেই ইফতার মাহফিল।



প্রতিবছরের মতো এবারও নিয়মিতভাবে ইফতারের আয়োজন করে যাচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তবে শুধু ফাউন্ডেশনই নয়, বায়তুল মোকাররম ব্যবসায়ী সমিতি, তাবলীগ জামাত এবং ব্যক্তিগত পর্যায়েও অনেকেই ইফতারের ব্যবস্থা করেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বায়তুল মোকাররম ঘুরে দেখা যায়, কয়েক’শ রোজাদার ইফতারি নিয়ে বসে আছেন। কেউ ইফতার সামনে নিয়ে দোয়া-দরুদ পড়ছেন, কেউবা আবার রোজা সম্পর্কে ইসলামী বক্তাদের বয়ান শুনছেন। ইফতার সামনে রেখে আল্লাহকে স্মরণ করছেন সব রোজাদার। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে অন্যরকম আবহ লক্ষ্য করা গেলো মসজিদটিতে।

বিশাল আকৃতির একেকটা থালা-গামলা ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, খেজুরসসহ নানা ধরনের ইফতারে ভর্তি। একেকটা থালায় ইফতার নিয়ে অপেক্ষা করছেন চার-পাঁচজন রোজাদার, কেউবা আবার দস্তরখানার ওপর ছোলা-মুড়ি মিশিয়ে বসে গেছেন কাতারবদ্ধ হয়ে। কেউ কেউ বাইরে থেকে ইফতার এনে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন রোজাদারদের সঙ্গে।
ইফতার ভর্তি থালা নিয়ে বসেছেন বেসরকারি ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মী সেলিম চৌধুরী, ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক, হকি খেলোয়াড় তরিকুল হোসেন পান্না ও দোকান কর্মচারী মো. রিপন। থালা-গামলা কিংবা ফ্লোরে বিছানো পলিথিনকে কেন্দ্র করে তাদের সব প্রস্তুতি। তাদের একে অপরের সঙ্গে নেই পূর্ব পরিচয়। হয়তো আর কখনও দেখাও হবে না। তবুও পরস্পরের মধ্যে অপূর্ব দরদ লক্ষ্য করা গেলো। সংযমের মাধ্যমে স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য প্রকাশে মানুষে-মানুষে ভ্রাতৃত্ব গড়ার এক মহিমাই যেন রমজান।

হকি খেলোয়াড় পান্না বলেন, রাজশাহী থেকে খেলার জন্য ঢাকায় এসেছি। এমনিতে হোটেলেই ইফতার করি তবে আজ বায়তুল মোকাররমে এলাম। এখানের ইফতার আয়োজন দেখে বেশ ভালো লেগেছে। সাধারণত গ্রামে এরকম দেখা যায়। ঢাকায় এরকম হতে পারে কল্পনায় ছিলো না।

তুর্কিস্তান থেকে তাবলীগে আসা আব্দুস সালাম ভাঙা-ভাঙা বাংলায় বললেন, ইফতার আল্লাহর নিয়ামত, আল্লাহর নিয়ামত এখানে সবাই ভাগ করে নিচ্ছে, খুব ভালো লাগছে।
তুর্কিস্তানের মসজিদে-মসজিদে এভাবেই ইফতার করা হয় বলেও জানান তিনি।

ইফতার ছাড়াও রোজার পুরো মাস জুড়েই ইফতারের আগে দোয়া ও রমজানের ফজিলত নিয়ে আলোচনা করা হয়। ২০০৯ সাল থেকে সরকারিভাবে রোজাদারদের জন্য ইফতারের আয়োজন করে আসছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। পাশাপশি ব্যাবসায়ী সমিতিসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রমজান মাসে ইফতার সরবরাহ করে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৬
এইচআর/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।