ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

ফিচার

দেহ ও মনের সুস্থতায় ২০ যোগাসন (পর্ব-১)

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪১ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৬
দেহ ও মনের সুস্থতায় ২০ যোগাসন (পর্ব-১)

ঢাকা: শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির অন্যতম গতিপথ যোগব্যায়াম। নিয়মিত যোগব্যায়াম আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

পাশাপাশি এটি হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, যকৃৎ, কিডনি, পাকস্থলী ইত্যাদি দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সুন্দরভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। যোগব্যায়ামের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি দেহের মাংসপেশির কোনোরকম বৃদ্ধি ছাড়াই পুরো দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়‍ায়, শ্বাসতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করে, কোষ ও কলায় পুষ্টি যোগায়, শরীরের বর্জ্য নিষ্কাশন ও শরীরের সব অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে।

প্রতিদিন মাত্র ২০ মিনিটের যোগাসন আপনার দেহ-মন ফুরফুরে করতে সক্ষম। এজন্য প্রয়োজন একাগ্রতা, ইচ্ছে আর অনুশীলন। অনুশীলনের সুবিধার্থে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য থাকছে যোগাসনের ২০টি প্রক্রিয়ার ধারাবাহিক আয়োজন। আজ প্রথম পর্ব –

প্রাণায়াম
প্রক্রিয়া: দু’পায়ের পাতা জড়ো করে দাঁড়ান। দু’হাতের ফিঙ্গার ক্রস করে হাতের পাতা চিবুকের নিচে রাখুন। দুই কুনুই সমান্তরালভাবে বুকের ওপর থাকবে। এবার নাক দিয়ে যতটা সম্ভব গভীর শ্বাস নিন। লম্বা শ্বাস নেওয়ার সময় মনে মনে এক-ছয় গুনতে থাকুন। গুনতে গুনতে দু’হাতের কুনুই দু’পাশ থেকে যতটা সম্ভব উপরে তুলে দিন। এবার দম ছাড়তে ছাড়তে হাত নামিয়ে আনুন।

উপকারিতা
• ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে। যাদের শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য বিশেষ ফলদায়ক।
• হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে।
• মনোযোগ বাড়ে।
• বডি রিল্যাক্সড থাকে এবং এনার্জি বৃদ্ধি করে।
অর্ধচন্দ্রাসন
প্রক্রিয়া: দু’পায়ের পাতা এক করে দাঁড়ান। দু’হাতের তালু ‍একসঙ্গে মিলিয়ে বুড়ো আঙ্গুল দুটো ইন্টারলক করুন। এবার হাত জোড়া অবস্থায় কানের পাশদিয়ে মাথার ওপর সোজা করে তুলে দিন। দুই হাতের কুনুই থাকবে কানের পেছনে। মেরুদণ্ড ও বুক টান করে দাঁড়ান। এবার লম্বা দম নিয়ে আপনার ডানদিকে যতটা সম্ভব শরীর হেলিয়ে দিন। চেষ্টা করুন আপনার পুরো অঙ্গভঙ্গি যেনো অর্ধ চাঁদের ন্যায় হয়। ১০ সেকেন্ড স্ট্রেচ করা অবস্থায় থাকুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক চলবে। এবার এক থেকে ১০ অব্দি গুসে ধীরে ধীরে সোজা হোন। একই প্রক্রিয়ায় শরীরের বামদিক ও পেছনে অর্ধচন্দ্রাসন করুন।

উপকারিতা
• অলসতা দূর ও শক্তি সঞ্চয়।
• মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধি।
• লিভার ও কিডনির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি।
• কোমর ও পিঠে ব্যথা দূর হয়।
• কোমর ও তলপেটের মেদ হ্রাস।
• কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৬
এসএমএন/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।