ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

রোদপোহানো মুক্তোদানায় শীত 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৬
রোদপোহানো মুক্তোদানায় শীত  ছবি: মানজারুল ইসলাম-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সন্ধ্যা গড়িয়ে আঁধার নামতেই কিছুটা মেজাজ বদলালো প্রকৃতি। শিশিরের সঙ্গে হিম। ছোট্ট শহরের মানুষগুলোর গায়ে চাপলো সোয়েটার, ভারী জ্যাকেট, চাদর, মাফলার, কানটুপি। তারপর রাতে মোটা কম্বলের নিচে চেপে ওম খোঁজা।

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে: সন্ধ্যা গড়িয়ে আঁধার নামতেই কিছুটা মেজাজ বদলালো প্রকৃতি। শিশিরের সঙ্গে হিম।

ছোট্ট শহরের মানুষগুলোর গায়ে চাপলো সোয়েটার, ভারী জ্যাকেট, চাদর, মাফলার, কানটুপি। তারপর রাতে মোটা কম্বলের নিচে চেপে ওম খোঁজা।  

প্রভাতের আলো জাগতেই ঝলমলিয়ে ওঠে ঘাস-লতা-গাছেরা। শরীরে তাদের জড়ায় আনন্দাশ্রু। মুক্তোদানার মতো সে জলবিন্দু শিশিরের, সূর্যের মিষ্টি নরম আলোর।  

ঘাসের ডগায় জমা বিন্দু বিন্দু জলকণা প্রতিটিই যেনো একেকটি জ্বলজ্বলে মুক্তো। তাতে পড়া রোদে আলোর নাচোন। প্রতি স্পর্শে লুকোয় তারা। রোদ পোহানোর মোক্ষম সময় তাদের, স্পর্শ কেন! 

কুয়াশার ফাঁক গলে আসা রোদালোয় আলোর বিচ্ছুরণ। মৃদু আলোয় তারপর জলকেলি।  

ঘাসেরাও জীবন পায়, জীবন বাঁচায়। হেমন্তের বিদায়ী বেলায় নতুন জীবন তাদের। স্ফটিকের মুক্তোদানায় নতুন করে অর্থ খোঁজা।  

মেজাজ বদলে বিকেলের আগমনী বার্তা অনেকটা পরিণত হলো সত্যিতে। আবছা দেখা পাকা সড়কে তখন পোশাকি শীত যাপন নারী-পুরুষের।  

প্রাত্যহিকতায় শামিল রাজহাঁসেরা। কুয়াশামোড়া প্রভাতে আড়ভেঙে বেরিয়েছে তারাও। প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের সব প্রস্তুতির।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৬
এএ

আরও পড়ুন
** শীত বুঝি এলো রে...

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।