ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

কচি হাতে জামদানি বুনন (ফটোস্টোরি)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৮
কচি হাতে জামদানি বুনন (ফটোস্টোরি) জামদানি তাঁতিপল্লি। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের নোয়াপাড়া এলাকার জামদানি তাঁতিপল্লি। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩শ’ কারখানা রয়েছে এই পল্লিতে। এসব কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন প্রায় চার হাজার শ্রমিক।

জামদানি শাড়ি তৈরি করছে একজন শিশু।  ছবি: ডিএইচ বাদলতাঁতিপল্লি ঘুরে দেখা যায়, চার হাজার শ্রমিকের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৫শ’ শিশুও।

এদের বয়স হবে ৯ থেকে ১৬ বছর। অনেকেই অভাবের তাড়নায় এসব কারখানায় কাজ করে।

শিশুশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা অন্য কাজের সুযোগ না পাওয়ায় শুধু জীবন-জীবিকার তাগিদে এ কারখানায় কাজ করছে। জামদানি শাড়ি তৈরি করছে একজন শিশু।  ছবি: ডিএইচ বাদলকিন্তু অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা কাজ করলেও তাদের বেতন অর্ধেক।

এখানে কর্মরত শিশু শ্রমিক সোহেলের (১২) সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। সে বাংলানিউজকে জানায়, আমার মতো এমন অনেক শিশু রয়েছে যারা এ বয়সে স্কুলে যাওয়ার কথা। হাতে বই কলম থাকার কথা কিন্তু গরিব হয়ে জন্ম নিয়েছি বলে কাজ করে খেতে হচ্ছে আমার মতো শিশুদের। জামদানি শাড়ি তৈরি করছে শিশুরা।  ছবি: ডিএইচ বাদলআলামিন (১৫) বাবার সঙ্গে থেকে দেখে দেখে জামদানি শাড়ি তৈরির করতে শিখে গেছে। আলামিনের বয়স ৯ বছর।   প্রথমে সে সুতা ভাঁজ করতো। এখন আলামিন শাড়ি তৈরিতে পুরোপুরি পারদর্শী। জামদানি শাড়ি তৈরি করছে একজন কিশোরী।  ছবি: ডিএইচ বাদলআলামিন বাংলানিউজকে বলে, ‘আমাদের অভাবের সংসার। তাই জামদানি কারখানায় কাজ করি। কাজ করে যা টাকা পাই তাই সংসার দেই। টানাপোড়েন আমাদের এই পল্লীর মানুষের মধ্যে লেগেই থাকে। তবুও খেয়ে বেঁচে আছি। ’.আবদুল মান্নানের বয়স ৫৪ বছর। ২৭ বছর ধরে তিনি এই তাঁতশিল্পের সঙ্গে জড়িত। বাড়ি টাঙ্গাইলে হলেও তিনি এখানকার একটি ছোট কারখানার মালিক। তার কারখানায় নারী-পুরুষ মিলিয়ে মোট ১০ শ্রমিক কাজ করেন। .আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে জানান, তার কারখানায় কোনো শিশু শ্রমিক নেই। তবে চারজন নারী ও ছয়জন পুরুষ শ্রমিক নিয়ে তার কারখানা চলে।

জামদানি বুনন অনেক পরিশ্রম ও সময়সাপেক্ষ। তাই দামও বেশি। দাম বেশির কারণে তেমন চাহিদা নেই। তাই অনেকে এই পেশা ছেড়ে দিয়ে মেশিন চালিত কারখানার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন বলে জানান মান্নান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।