ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

কল্পতরুর রঙ্গপ্রবেশ

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৮
কল্পতরুর রঙ্গপ্রবেশ নৃত্য পরিবেশন করছেন কল্পতরুর এক শিক্ষার্থী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রঙ্গ মানে রং, আর প্রবেশ হলো যাত্রা। গুরু কর্তৃক নাচ শেখার পর গুরু যেদিন শিক্ষার্থীকে প্রথম মঞ্চে অভিষেক করান, সে শুভক্ষণের নামই ‘রঙ্গপ্রবেশ’। কল্পতরুর সে আয়োজনের মধ্য দিয়েই এবার মঞ্চে প্রবেশ করছে তাদের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (০২ মার্চ) সন্ধ্যায় ‘রঙ্গপ্রবেশ ২০১৮’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ভরতনাট্যম উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ নৃত্যযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সির্টি অব বাংলাদেশ (আইইউবি) এর সেমিনার রুমে।

এটি কল্পতরুর রঙ্গপ্রবেশের দ্বিতীয় উপস্থাপনা। এর আগে প্রথম রঙ্গপ্রবেশ অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালে।

আয়োজনের প্রথমদিন সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী লুবনা মারিয়াম। উদ্বোধনের পর একক নৃত্য নিয়ে মঞ্চে আসেন অরথি আহমেদ। তিনি পুষ্পাঞ্জলি, ভারনাম, দেভারানামা ও ঠিলানা রাগভিত্তিক নৃত্য পরিবেশন করেন।

এসময় মঞ্চে নাটুওয়াঙ্গমে নেতৃত্ব দেন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাকারী ও প্রশিক্ষক নৃত্যগুরু কীর্তি রামগোপাল। কণ্ঠ দেন ড. বালামুরালী কৃষ্ণা।

মিলনায়তনে একের পর এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা উচ্ছলতা আনে দর্শক হৃদয়ে। এসময় শিল্পীর পরিচ্ছন্ন দেহ আঙ্গিক, আন্তরিক আরামান্ডি (ভরতনাট্যমের মৌলিক ভঙ্গিমা), গীতিকাব্যের সুস্পষ্ট বোধের দারুণ প্রশংসা করেছেন নৃত্যবোদ্ধারা।

শনিবার (০৩ মার্চ) আয়োজনের দ্বিতীয় দিন। এদিন কল্পতরুর নৃত্যশিক্ষার্থীদের নৃত্য প্রদর্শনের আগে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে আমন্ত্রিত শিল্পীদের পরিবেশনায় কর্ণাটিক কাচেরি বা সঙ্গীতানুষ্ঠান।

কল্পতরু একমাত্র বাংলাদেশি নৃত্যপ্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যার শিক্ষার্থীরা ভারতের সর্বাধিক সম্মানিত ‘খজুরাহো নৃত্যোৎসবে’ দু’বার নৃত্য পরিবেশন করার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৮
এইচএমএস/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।