একের পর এক সুযোগ হারিয়ে বিরতির পর গিয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে এগিয়ে নেন আর্লিং হালান্ড। কিন্তু বায়ার্ন মিউনিখও সমান তালে আক্রমণ করতে থাকে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে আজ বায়ার্নের সঙ্গে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে ম্যানচেস্টার সিটি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করেছে দলটি।
একই রাতের আরেক ম্যাচে সান সিরোতে বেনফিকার সঙ্গে ৩-৩ ব্যবধানে ড্র করে ইন্টার মিলান। প্রথম লেগে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকায় ৫-৩ ব্যবধানে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দলটি। ফিরতি লেগে বেনফিকার হয়ে গোল করেন ফ্রেডরিক অরসনেস, আন্তনিও সিলভা ও পিটার মুসা। আর ইন্টারের হয়ে গোল পান নিকোলো বারেল্লা, লাওতারো মার্তিনেস ও জোয়াকিন কোরোয়া।
ঘরের মাঠে শুরু থেকেই নিজেদের ধাপট দেখাতে থাকে বায়ার্ন মিউনিখ। একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে। সুফলও পেতে যাচ্ছিল তারা। সপ্তদশ মিনিটে বল নিয়ে এগিয়ে যান সানে। তবে বক্সে এসে এডারসনকে উতরে যেতে পারেননি।
দুই মিনিট পর প্রতিআক্রমণ করে বসে সিটি। বল নিয়ে বায়ার্নের বক্সের সামনে যেতেই হালান্ডকে ফাউল করে বসেন উপামেকানো। সাথে সাথে লাল তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। পরে অবশ্য ভিএআর চেক করে দেখা যায় অফসাইডে ছিলেন সিটি স্ট্রাইকার। পরে লাল কার্ড বাতিল হয়।
এতেই শেষ হয়ে যায়নি সিটির সুযোগ। ৩৫তম মিনিটে গুনদোয়ানকে বক্সে উপামেকানো ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে গোলবারের ওপর দিয়ে বল উড়িয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন হালান্ড।
বিরতির পর এগিয়ে যেতে বেশিক্ষণ সময় নেয়নি সিটি। ৫৭তম মিনিটে হালান্ডকে লক্ষ্য করে বক্সে বল বাড়ান কেভিন ডি ব্রুইনা। বল পেয়ে ইয়ান সোমারকে সহজেই পরাস্ত করে লক্ষ্যভেদ করেন নরওয়ে স্ট্রাইকার। গোল হজম করে আক্রমণে ধার বাড়ায় বায়ার্ন। আক্রমণ চালাতে থাকে তারা। ৭৫তম মিনিটে বল জালেও পাঠায়। তবে কোমান অফসাইডে থাকায় সেটি বাতিল হয়।
৮৩তম মিনিটে ঠিকই সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। বক্সে গোললাইনে মানের নেওয়া শট আকাঞ্জির হাতে লাগে। পরে রেফারি ভিএআর দেখে পেনাল্টির ঘোষণা দেয়। সফল স্পট কিকে দলকে সমতায় ফেরাতে ভুল করেননি কিমিচ। শেষদিকে আর কোনো গোল না হলে আগের লেগে এগিয়ে থাকা সিটি সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
আরইউ