সৌদি আরব এখন ফুটবলারদের জন্য একরকম ‘জাদুর বাক্স’ হয়ে গেছে। যেখান থেকে চাইলেই বেরিয়ে আসে টাকা।
লিওনেল মেসির জন্যও প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু তিনি ফিরিয়ে দিয়ে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। আর্জেন্টিনার আরেক ফুটবলার রদ্রিগো দি পলকে চেয়েছিল সৌদি আরবের ক্লাব; কিন্তু তিনিও থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদে। এবার জানা গেল, প্রস্তাব এসেছিল আনহেল দি মারিয়ার জন্যও।
গত বছরের শেষদিকে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন, ফাইনালে গোল করে বনে গেছেন নায়কও। এ মৌসুমের শেষে পুরোনো ক্লাব জুভেন্তাস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন ইউরোপে তার শুরুর দিকের ক্লাব বেনফিকায়। তবে এর মাঝেই সৌদি থেকে পাগলাটে প্রস্তাব পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন দি মারিয়া।
রেডিও দি স্পোর্তোকে এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সৌদি থেকে আমার ডাক এসেছিল কিন্তু আমি বেনফিকাকে ভালোবাসি। সৌদি থেকে অনেকবারই ডাক পেয়েছি। তারা যে সংখ্যার (টাকা) প্রস্তাব দিয়েছে, সেটি ছিল পাগলাটে। কিন্তু আমি আমার হৃদয়কে বেছে নিয়েছি, আমি বেনফিকাতেই ফিরতে চেয়েছি। ’
‘আমি বেনফিকার কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ কোনো খেলোয়াড় আসার পরই এমন অভ্যূর্থনা জানানো স্বাভাবিক না। এমন কিছু পাওয়া সত্যিই খুব সুন্দর ব্যাপার ছিল। আমি সামনের দরজায় গিয়েছি, আবার ফিরে এসেছি অভ্যূর্থনা নিয়ে, এটা খুব ভালো হয়েছে। ’
দি মারিয়া জীবনে সম্ভাব্য সবকিছুই জিতে গেছেন। খেলেছেন বড় বড় সব ক্লাবে। তবুও তার জীবনে নিশ্চয়ই আলাদা হয়ে থাকবে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল। এ ম্যাচে গোলও পেয়েছিলেন তিনি। তবে অবিশ্বাস্য এই ফাইনালে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও আর্জেন্টিনাকে সমতায় শেষ করতে হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা। সেই ফাইনাল পরে দেখলেও পুরোটা দেখতে পারেননি বলে জানান দি মারিয়া।
তিনি বলেন, ‘খেলার পর আরও একবার ফাইনালটা দেখেছি। আমি কেবল ৭০ মিনিট অবধি দেখেছি। এরপর যখন এমবাপে গোল করলো, ওই পেনাল্টিটা হলো, আমি ওই কুৎসিত অংশটা দেখতে চাইনি। টেনে আমি টাইব্রেকার আর উদযাপনে চলে গিয়েছিলাম। মার্তিনেস যে সেভটা দিয়েছে, সেটা দেখিনি, এমনকি ছবিও না। ’
জাতীয় দলে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি বলেন, ‘কোপা আমেরিকা পর্যন্ত আপাতত। আমি সবসময় স্কালোনির স্কোয়াডে বিশ্বাস রাখবো। যে কেউই তার ডাকের অপেক্ষায় থাকে, জানি তার তালিকায় কারোই গ্যারান্টি করা জায়গা নেই। আমি জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে শিরোপা জেতা চালিয়ে যেতে চাই। ’
বাংলাদেশ সময় : ১২২১ ঘণ্টা, ২৫ আগস্ট, ২০২৩
এমএইচবি