বাংলাদেশের ফুটবলে প্রথমবারের মত নিলামে উঠতে যাচ্ছেন ফুটবলাররা। মূলত একাডেমির ৭ ফুটবলারকে একাধিক ক্লাব চাওয়ায় এমন পথে হাঁটতে হয়েছে বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটিকে।
তবে ক্রিকেট ও হকির সঙ্গে ফুটবলের নিলামে পার্থক্য রয়েছে। ক্রিকেট ও হকিতে ফ্রাঞ্চাইজি লিগের জন্য নিলাম হয়েছে আর ফুটবলে নিলাম হচ্ছে বাফুফের একাডেমি খেলোয়াড় প্রিমিয়ার লিগে বন্টনের জন্য। দেশের শীর্ষ ফুটবলাররা নন, একেবারে তৃণমূলের ফুটবলারদের নিলামে তুলছে বাফুফে।
বাফুফের এলিট একাডেমীর ফুটবলারদের দলে ভেড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ক্লাবগুলো। সেই আগ্রহের ভিত্তিতেই বাফুফে সর্বোচ্চ অর্থ প্রদানকারী ক্লাবকে খেলোয়াড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই প্রেক্ষিতে নিলাম নিয়ে কাজ শুরু করে বাফুফে। বাফুফের একাডেমীতে ৬০-এর অধিক খেলোয়াড় থাকলেও বয়স, পারফরম্যান্স, চাহিদা-এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে শেষ পর্যন্ত মাত্র ১০ জনকে নিলামে তুলছে। এসব ফুটবলারের মধ্যে ছয় জনের প্রাথমিক মূল্য ৫ লাখ, বাকি চার জনের ৪ লাখ টাকা। বিক্রিত মূল্যের প্রাপ্ত অর্থ ফেডারেশন এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে ভাগাভাগি হবে।
ভিত্তিমূল্য পাঁচ লাখে থাকা ফুটবলাররা হলেন গোলকিপার মো. আসিফ, সেন্টার ব্যাক আজিজুল হক, মিডফিল্ডার সাজেদ হাসান ও চন্দন রায় এবং ফরোয়ার্ড মিরাজুল ইসলাম ও আসাদুল মোল্লা। এই ছয়জন এ-ক্যাটাগরিভুক্ত। ভিত্তিমূল্য চার লাখে থাকা ডিফেন্ডার সিরাজুল ইসলাম রানা, রুবেল শেখ ও ইমরান খান এবং ফরোয়ার্ড সুমন সরেন। এরা বি-ক্যাটাগরিভুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৩
এআর/আরইউ