ঢাকা, বুধবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

১০ গোলের ব্যবধানে হারলেও অবাক হবেন না আফগান কোচ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩
১০ গোলের ব্যবধানে হারলেও অবাক হবেন না আফগান কোচ

একই দিনে, একই সময়ে ক্রিকেট ও ফুটবলে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। আগামীকাল ৩ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় এশিয়া কাপের মঞ্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের অগ্নিপরীক্ষা।

একই দিনে বিকেল ৫টায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আফগানিস্তান জাতীয় ফুটবল দলের বিপক্ষে মাঠে নামবে জামাল ভূঁইয়ারা।  

বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ম্যাচকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন আফগান কোচ আব্দুল্লাহ আলমুতায়রি। এই ম্যাচে আফগানিস্তান ১০-০ গোলে হারলেও অবাক হবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকলেও দলটিকে এশিয়ার এশিয়ার পরবর্তী পরাশক্তি হিসেবে ভাবছেন আফগান কোচ।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। আমরা এখানে দুইটি প্রীতি ম্যাচ খেলব। আমি মনে করি, সাফ অঞ্চলে বাংলাদেশ পরবর্তী পরাশক্তি। তো তাদের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগের ম্যাচ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই দুই ম্যাচ দুই দলের জন্যই ভীষণ কর্যকরী হবে। ’

ম্যাচের আগে কার পাল্লা বেশি ভারী এমন প্রশ্নে মুতায়রি বলেন, ‘কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না কে জিতবে। কেননা, আমি এখানে এসেছি কেবল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য দলকে প্রস্তুত করতে। প্রীতি ম্যাচ…শুধুই প্রীতি ম্যাচ। আপনি ১০-০ গোলে জিততে পারেন, ১০-০ গোলে হারতেও পারেন। ’

‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অফিসিয়াল ম্যাচ। আমি এখানে এসেছি মঙ্গোলিয়া ম্যাচের জন্য খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করতে। ছেলেদের উপর কোনো চাপ দিচ্ছি না। আগামীকাল আমরা মাঠে নামব ফুটবল উপভোগের জন্য। ৭ সেপ্টেম্বরেও ফুটবল উপভোগ করব এবং ইনশাআল্লাহ, ভালো ফল দিয়েই এটা উপভোগ করব । ’

২০২১ সালে সাফে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে কোচ আব্দুল্লাহ আলমুতায়রির। আগের সেই বাংলাদেশ থেকে বর্তমানের বাংলাদেশের পারফরম্যান্স অনেক ভালো বলে মনে করেন তিনি। এই ব্যাপারে আফগান কোচ বলেন, ‘দেখুন, ২০২১ সাফে আমি বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছি। প্রথমত, সেই সময় তাদের এই খেলোয়াড়রা বয়সে তরুণ ছিল। আমি সবসময় উঠতিদের সমর্থন করি। দ্বিতীয়ত, তারা এখন সিস্টেমের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে এবং খুবই ভালো খেলছে। ২০২৩ সাফে তারা ফাইনালে খেলার খুব, খুব কাছাকাছি ছিল। প্রথম মিনিটের সুযোগটি যদি কাজে লাগাতে পারত, তাহলে ফল ভিন্ন হতে পারত। ’

‘আমি মনে করি দক্ষিণ এশিয়ার পরের পরাশক্তি বাংলাদেশ, যেটা সাত-আট বছর আগে মালদ্বীপ ছিল। এই অঞ্চলে ভারত অন্য পর্যায়ে উঠে গেছে, বাকিদের নিয়ে কথা বলতে হবে আমাদের। বাস্তবতা হচ্ছে, গত সাত-আট বছরে ভারতের পরের পরাশক্তি ছিল মালদ্বীপ, কিন্তু এখন আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ সেই পরাশক্তি হতে যাচ্ছে, যদি তারা ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখতে পারে। যদি কোচ, খেলোয়াড় বদল না করে, তাদেরকে স্রেফ আরেকটু সময় দিন, ম্যাচ খেলার সুযোগ দিন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।