ক্রীড়াঙ্গনে চলছে ব্যস্ত সূচি। ক্রীড়ামোদিদের জন্য দারুণ একটা উপভোগ্য সময় কাটছে।
এবারের ৪৮তম কোপায় অংশ নিচ্ছে ১৬টি দল। যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া টুর্নামেন্টে লাতিন অঞ্চলের ১০ দলের সঙ্গে আমন্ত্রিত হিসেবে খেলছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো, জ্যামাইকা, পানামা ও কোস্টারিকা। গ্রুপ ‘এ’তে আর্জেন্টিনার সঙ্গী কানাডা, চিলি ও পেরু। আর গ্রুপ ‘ডি’তে ব্রাজিলের সঙ্গে রয়েছে কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে ও কোস্টারিকা।
লিওনেল মেসি নিজেদের এগিয়ে রাখলেও টুর্নামেন্টের অন্য দলগুলোকে নিয়ে সতর্ক করলেন সতীর্থদের, ‘আর্জেন্টিনা সব টুর্নামেন্টেই শিরোপার দাবিদার হিসেবে খেলতে নামে। তবে সব জাতীয় দল শেষ কয়েক বছরে আরও উন্নতি করেছে, এই প্রতিযোগিতা কঠিন হতে চলেছে। আমরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় কোপার অন্যতম দাবিদার। কিন্তু কোপা আমেরিকা ভিন্ন ধরনের টুর্নামেন্ট। এখানে সব ম্যাচ কঠিন। বিশ্বকাপ জিতেছি বলে কেউ ট্রফি হাতে তুলে দেবে না। ’
লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার পাশাপাশি শিরোপার দাবিদার হিসেবে নিলেন ব্রাজিলের নামও, ‘আমার মনে হয় এবার ইকুয়েডর চমকে দিতে পারে। শারীরিকভাবে ওরা ভীষণ শক্তিশালী। খেলেও পরিকল্পনা মতো। ব্রাজিলও শিরোপার দাবিদার। ’
কাতার বিশ্বকাপে সৌদি আরবের কাছে হারের পর ১৮ ম্যাচের ১৭টিতেই জিতেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হার শুধু উরুগুয়ের কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই ২০১৫ ও ২০১৬ সালে চিলির কাছে ফাইনাল হেরে কোপা জেতা হয়নি আর্জেন্টিনার। সেই চিলি এবার প্রতিপক্ষ গ্রুপ পর্বে। তবে লিওনেল মেসি থাকায় নির্ভার কোচ লিওনেল স্কালোনি, ‘মেসি এখন পুরোপুরি ফিট, প্রস্তুত নিজের জাদু দেখাতে । গোটা দল উৎসাহ ও প্রেরণা পেয়েছে ওকে দেখে। ’
অন্যদিকে আরেক লাতিন জায়ান্ট ব্রাজিলকে চাপে থেকেই আসর শুরু করতে হচ্ছে। কয়েক দিন আগেই সেলেসাওদের সাবেক তারকা রোনালদিনহো ব্রাজিলের এই দল নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। তার দেখা, এই দলই নাকি সবচেয়ে বাজে। সাবেক ফুটবলারের সমালোচনায় চাপ আরো বেড়ে গেছে, তা বলাই যায়।
নতুন কোচ দরিভাল জুনিয়রের অধীনে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় ৯ বারের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু সাম্প্রতিক নৈপুণ্য তাদের হয়ে কথা বলছে না। সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচেও যুক্তরাষ্ট্রকে হারাতে পারেনি। তবে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, রাফিনিয়াদের সঙ্গে এনদ্রিকের সংযোজন আশা দিচ্ছে সেলেসাওদের। কিন্তু গ্রুপ পর্বে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে ব্রাজিলকে।
কলম্বিয়া ছাড়াও এই গ্রুপে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা ও প্যারাগুয়ে। ২০২২ সাল থেকে কোনো ম্যাচ হারেনি কলম্বিয়া। নেস্তোর লরেঞ্জোর অধীনে অপরাজিত আছে ২৩ ম্যাচ। বিশ্বকাপ বাছাইয়েও ব্রাজিলকে হারানোর সুখস্মৃতি আছে কলম্বিয়ানদের। রেকর্ড ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকেও শিরোপার রেসে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও তরুণ দল নিয়ে লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছে তারা। এ ছাড়া স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রও প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি হতে পারে। ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগাতে চাইবে তারাও।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৪
এআর/এএইচএস