শুরু থেকে অনেকবার ইতালির রক্ষণকে পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল স্পেন। গোলরক্ষকের নৈপুণ্যে স্প্যানিশদের আক্রমণ ঠেকিয়ে রেখেছিল ইতালিয়ানরা।
২০২৪ ইউরোর গ্রুপ 'বি'-এর ম্যাচে গতকাল রাতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ১-০ গোলে হারিয়েছে স্প্যানিশরা। ম্যাচের অধিকাংশ সময় দাপুট দেখিয়েছে স্প্যানিশরাই। অসংখ্য সুযোগ এসেছিল তাদের সামনে। যা কাজে লাগাতে পারলে ব্যবধানটা আরও বড় হতো। তবে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধে রিক্কার্দো কালাফিওরির আত্মঘাতী গোলে জয়ের মুখ দেখে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।
প্রায় এক ঘণ্টা ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দুন্নারুম্মাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে স্পেন। তবে তাকে পরাস্ত করতে পারছিল না তারা। অবশেষে ৫৫তম মিনিটে আলভারো মোরাতার ফ্লিকে বল কালাফিওরির শরীর ছুঁয়ে জালে জায়গা করে নেয়। এই গোলের কোনও জবাব দিতে পারেনি ইতালিয়ানরা।
দুই বড় দলের ম্যাচ বলেই প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু মাঠের খেলায় ইতালিয়ানরা সেভাবে আলো ছড়াতে পারেনি। বরং বল দখল থেকে শুরু করে নজর কেড়ে নেওয়ার মতো যা কিছু, তার প্রায় সবই করেছে স্পেন। ইতালি রক্ষণ সামলাতেই বেশি ব্যস্ত ছিল।
হারের ব্যবধান বড় না হওয়ায় দুন্নারুম্মাকে ধন্যবাদ দিতেই পারে ইতালি। তিনটি দারুণ সেভ করেছেন তিনি। এর মধ্যে শুরুর দিকে পেদ্রির হেড বারের ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন, এরপর ফাবিয়ান রুইজ ও মোরাতার দুটি প্রচেষ্টা বিফল করে দেন ইতালির তারকা গোলরক্ষক।
স্পেনের নিকো উইলিয়ামস একাই দুইবার সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি। একবার তার হেডে বল পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। আরেকবার বল লাগে ক্রসবারে। তবে নিকো ও ১৬ বছর বয়সী বার্সা তারকা লামিনে ইয়ামাল মিলে ইতালিকে ভালোই ভুগিয়েছেন।
অপরাদিকে আক্রমণের দিক থেকে ইতালি ছিল অনেক পিছিয়ে। প্রথমার্ধে সবমিলিয়ে মাত্র ৩ বার স্পেনের বক্সে বল নিয়ে যেতে পারে তারা। কিন্তু কোনবারই লক্ষ্যে বল রাখতে পারেনি গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশি ছন্নছাড়া ফুটবল খেলেছে তারা। যার ফল হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।
টানা দুই ম্যাচ জিতে আসরের শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ফেলেছে স্পেন। দুই ম্যাচে কোনও গোল হজম করেনি তারা। অন্যদিকে পরের ধাপে যাওয়ার সুযোগ আছে ইতালির সামনেও। সোমবার ক্রোয়েশিয়াকে হারাতে হবে তাদের। আর গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আলবেনিয়ার মুখোমুখি হবে স্পেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৪
এমএইচএম