বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার অর্থায়নে কক্সবাজারে নির্মিত হওয়ার কথা ‘বাফুফে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’। শুরুতে এই সেন্টার ফর অ্যাক্সিলেন্স হওয়ার কথা ছিল কক্সবাজারের খুনিয়াপালংয়ে।
তাই নতুন করে জমির খোঁজ করছিল বাফুফে। এবার কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের মহাসড়ক লাগোয়া স্বপ্নতরী বিনোদন কেন্দ্রের পাশে টেকনিক্যাল সেন্টারের জন্য জমি বরাদ্দ চেয়েছে তারা।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জানিয়েছিলেন, কক্সবাজারের পাশাপাশি ঢাকার আশেপাশেও তারা এই টেকনিক্যাল সেন্টারের জন্য জমির খোঁজ করবেন। তবে এত বড় জমি ঢাকার আশেপাশে পাওয়া কিছুটা দুরূহ। ফলে কক্সবাজারেই নতুন জমি বরাদ্দ চাইল তারা। বাফুফে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে ১৯.১ একর জমি বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বিষয়টির আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রামু উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার মোঃ সাজ্জাদ জাহিদ রাতুলকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাফুফে সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, রামু সহকারী ভূমি কমিশনার মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল সহ একটি প্রতিনিধি দল আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রস্তাবিত মাঠটি পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শন শেষে ওয়াহিদ উদ্দিন বলেন, ‘রামুর খুনিয়াপালংয়ে ইতোপূর্বে পরিবেশবাদী সংগঠনের আপত্তির কারণে প্রস্তাবিত জায়গাটি বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে সকল স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলে রামুর রশিদ নগরের জায়গাটি চুড়ান্ত করা হয়েছে। সরেজমিনে যা দেখলাম ভালো একটি ফুটবল টেকনিক্যাল সেন্টার এখানে করা সম্ভব। প্রশাসনিক যাবতীয় কাগজপত্র ঠিক হলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। ’
ফিফার কাছে এই বছরের মধ্যেই নতুন জমির বরাদ্দ পাওয়ার কগজ পাঠাতে হবে বাফুফেকে। রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল জানান, ‘বাফুফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত জায়গাটি পরিদর্শন করা হয়েছে। জমির আশপাশ বিষয় গুলো সমন্বয় করে সহসাই অগ্রগতি প্রতিবেদন দেয়া হবে। ’
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত বাফুফে টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের সব ব্যয়ভার বহন করবে ফিফা। বাফুফের সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত বাফুফে সেন্টারে থাকবে পুরুষ-মহিলা পৃথক দুটি ডরমিটরি, জিমনেশিয়াম, সুইমিংপুল, দুটি খেলার মাঠ। এর মধ্যে একটি ন্যাচারাল, অন্যটি টার্ফের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৪
এআর/এএইচএস