ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের প্রথমার্ধ ব্রাজিলের বক্সেই বেশি চাপ তৈরি করতে দেখা গেছে আর্জেন্টিনাকে।
খেলার ষষ্ঠ মিনিটে কৌতিনহোর দুর্দান্ত শট আর্জেন্টিনার গোলবারে লেগে ফিরে আসে। ১৪ মিনিটের মাথায় মেসির বাঁকানো শট রুখে দেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক ওয়েভারটন। আর ১৮তম মিনেটের মাথায় ফ্যাগনারের পাস থেকে বল পেয়ে গোলবারের ওপর দিয়ে মেরে বসেন ব্রাজিল তারকা জেসুস। ৩৯ মিনিটের মাথায় মেসির লম্বা পাসে বল পান ডি মারিয়া। তার কোনাকুনি শটে ব্রাজিলের ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করলেও ফিরতি শট নেন তিনি। তবে, প্রস্তুত ছিলেন ওয়েভারটন। ৪১ মিনিটের মাথায় মেসির আরেকটি পাস থেকে শট নেন দিবালা। তবে, এবারো আর্জেন্টাইনদের হতাশ হতে হয়।
৪৫ মিনিটে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। ডি মারিয়ার বাড়ানো বলে হেড করেন অটামেন্ডি। তবে, বল গোলবারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন গ্যাব্রিয়েল মার্কাডো। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মেসি বাহিনী।
শুক্রবার (০৯ জুন) মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ব্রাজিল-আজেন্টিনা মহারণ। প্রীতি ম্যাচ হলেও এতটুকু আকর্ষণ কমে যাচ্ছেনা। মাঠে কেউ কাউকে এতটুকুও ছাড় দিতে নারাজ। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ০৫ মিনিটে শুরু হয় ম্যাচটি। আগামী ১৩ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা।
বিরতির পর হিগুয়েনকে তুলে নিয়ে আর্জেন্টাইন কোচ মাঠে পাঠান কোরেয়াকে। ৫৩ মিনিটে জেসুসের সোজাসুজি নেওয়া জোরালো শট রুখে দেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো। ৫৪ মিনিটে কোরেয়ার বামদিক থেকে শটে পা গলালেও ডি মারিয়া গোলের দেখা পাননি। ৬০ মিনিটে জেসুস আবারো গোলে দেখা পেতে পেতেও পাননি। পরের মিনিটে আর্জেন্টিনাকে চেপে ধরে ব্রাজিল। উইলিয়ানের শট আর্জেন্টিনার গোলবারের সাইডে লেগে বেরিয়ে যায়। আর ৬২ মিনিটে দুই-দুইবার গোলবারে শট নিয়েও গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল। রোমেরোকে ফাঁকি দিয়ে প্রথম শটটি নিয়েছিলেন জেসুস। গোলবারে লেগে ফিরে আসা বলে আবার শট নেন ফার্নান্দিনহো। দ্বিতীয় শটটিও গোলবারে লেগে ফিরে আসে। পাউলিনহো তৃতীয়বারের মতো ফিরতি শট নেওয়ার আগেই বল ক্লিয়ার করেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার।
৬৬ মিনিটে অগাস্টোর পরিবর্তে ব্রাজিল কোচ তিতে মাঠে নামান দগলাস কস্তাকে। ৬৯ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনার উঠতি তারকা দিবালার পরিবর্তে মাঠে নামেন রদ্রিগুয়েজ। আর ৭৫ মিনিটে আর্জেন্টিনার গোলদাতা মার্কাডোর বদলি হিসেবে নামেন এমানুয়েল। ৭৭ মিনিটে পাউলিনহোর দুর্দান্ত শট রুখে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। রোমেরোর হাতে লেগে বল চলে যায় উইলিয়ানের কাছে। তবে, ততক্ষণে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডাররা। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
বার্সেলোনার দুই প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি ও নেইমারের দ্বৈরথের দেখা মেলেনি মেলবোর্নে। কারণ নেইমারকে বিশ্রাম দেন সেলেকাও কোচ তিতে। মেসির সঙ্গে জুটি গড়েন জুভেন্টাসের তারকা দিবালা-হিগুয়েন। নেইমার না থাকলেও বিশ্বের এক নম্বর দলটিতে উইলিয়ান, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, থিয়াগো সিলভা, ফিলিপ কৌতিনহোদের মতো মহাতারকারা ছিলেন।
এদগার্দো বাউজার স্থলাভিষিক্ত হয়ে আর্জেন্টিনার দায়িত্ব নিয়েছেন জর্জ সাম্পাওলি। আর নতুন কোচের অধীনে প্রথমবারের মতো মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। দু’দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার চেয়ে এগিয়ে ব্রাজিল। এই ম্যাচ নিয়ে ১০৮ বারের দেখায় ব্রাজিল জিতেছে ৪৬ বার, আর্জেন্টিনা ৩৯ বার। ২৩টি ম্যাচ ড্র হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ০৯ জুন ২০১৭
এমআরপি