প্যারিস: প্রবাসে নিজ ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অনেক চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে নিজ সংস্কৃতির চর্চা করতে হয় প্রবাসীদের।
পরিবারের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে অবিরাম ছুটে চলা প্রবাসীদের মনে সংস্কৃতির আনাগোনা থেকেই যায়। অনেকেই বিনোদন আর সংস্কৃতির চর্চার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন।
এর মাধ্যমে অনেক সুপ্ত প্রতিভাও বের হয়ে আসে। এরকমই একটি দল ‘পথিকস’।
ফ্রান্সের মাটিতে শত ব্যস্ততার মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে গানের দল পথিকস। ২০০৩ সাল থেকে শুরু করে নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যান্ড দল হিসেবে নিজেদের তুলে ধরেছে পথিকস।
পথিকস-এর মূল ভোকালিস্ট সাদি আদিত্য জানান, দেশে থাকতে এ ব্যান্ডের সঙ্গে জড়িত সবাই সংগীতের অনুরাগী ছিলেন। অনেকেই খুব ভালো বাদ্যযন্ত্রী।
আবার অনেকেই দেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করতেন। ফ্রান্সে আসার পর এ তরুণরা কাজের ফাঁকে বিভিন্ন আড্ডায় নিজেদের প্রতিভা দেখাতেন।
তিনি জানান, সে সময় প্যারিসে সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক আড্ডার জন্য বিখ্যাত মার্কাদে-১৩১
সাদি আদিত্য জানান, এ রকম এক আড্ডায় একটি পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্যান্ড করার বিষয়ে সবাই একমত হই। আমাদের সে সময়ের আড্ডায় প্যারিসের সংস্কৃতি অঙ্গনের কিছু প্রতিভাবান বাঙালি তরুণ ছিলেন।
এরমধ্যে অরুন, আরিফ রানা, মুরাদ, লিটন, তুহিন, জয়ন্ত, সাথি, রাহুল, জুয়েল, সৌমিত্র উল্লেখযোগ্য।
তিনি জানান, একদিন আড্ডায় একটি বাংলা ব্যান্ডদল করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়। পথিকস এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ড্রাম বাদক মুরাদ ব্যান্ডদল গঠনের অনুপ্রেরণা দেন।
নামে বৈচিত্র আনতে ইংরেজি অক্ষর ‘এস’ যোগ করে পথিকস করা হয়।
২০০৩ সাল থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাজ করছে পথিকস। এরপর ২০০৬ সালে প্যারিসের বাইরে রেন শহরে সংগীত পরিবেশন করে পথিকস।
নিজেদের ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্র দিয়ে শুরু করলেও এখন পথিকস এর রয়েছে বিশ্বমানের বাদ্যযন্ত্রের সংগ্রহ ও সাউন্ড সিস্টেম।
দীর্ঘ এ পথচলায় অনেক সহযাত্রী চলে যাওয়ার পর বর্তমানে পথিকস এর লাইন আপে আছেন-ভোকাল-সাদি, লিড গিটার ও ভোকাল-খোকন, রিদম গিটার- মামুন, বেস গিটার-রানা, ড্রাম-লিওনার্দো এবং শব্দ প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনায় নিয়াজ উদ্দীন চৌধুরী হীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৪