পারনা: পাবনা জেলায় গত দুই বছরে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৫৯ জন।
এ দুই বছরে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়েছে চার হাজারেরও বেশি মানুষ।
‘যতদিন বাঁচব, যক্ষ্মাকে রুখবো’- এ শ্লোগান নিয়ে পাবনায় আয়োজিত যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে গণ সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক জেলা অ্যাডভোকেসি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
পাবনা চেম্বার অব কমার্স মিলনায়তনে রোববার বেলা ১১টায় এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব)।
সভায় আলোচকরা জানান, যক্ষ্মা একটি মারাত্বক রোগ। নিয়মিত, পরিমাণমত ও পূর্ণ মেয়াদে ওষুধ সেবনে এ রোগে আক্রান্ত শতকরা ৯০ ভাগ রোগী সুস্থ হয়ে যায়। আর যদি তা না হয় তাহলে বহু ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা (মাল্টি ড্রাগ রেজিস্টার বা এমডিআর-টিবি) হয়ে যায়।
২০১২ সালে পাবনায় এমডিআর-টিবি চিকিৎসার জন্য জিন এক্সপার্ট মেশিন স্থাপন করা হয় এবং ২০১৩ সাল থেকে চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়। যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণ সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সাংবাদিক, শিক্ষক, ঈমাম, মুয়াজ্জিন, শিক্ষার্থীসহ সুশীল সমাজের ভূমিকা রাখতে হবে।
নাটাব পাবনার সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন ডা. আই আই রসুলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি।
প্রধান আলোচক হিসেবে যক্ষ্মার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন পাবনা টিবি ক্লিনিক ও হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. খলিলুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হারুন অর রশিদ।
যক্ষ্মা বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন ও অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নাটাব’র সোস্যাল মোবিলাইজার আতাউর রহমান। সভায় জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৩০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৪