বান্দরবান: বান্দরবানের থানছি, রুমা ও আলীকদম উপজেলায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চার শতাধিক মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের দাবি মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১১ জনে দাঁড়িয়েছে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- বীরেন ত্রিপুরা (৮), জ্যোতিময় ত্রিপুরা (১২), জগৎজ্যোতি ত্রিপুরা (১২), ক্রইসাংপ্রু মারমা (৯), চহ্লাপ্রু মারমা (৯) ও উথোয়াইচিং (৫)।
স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবানের দুর্গম উপজেলা থানছি ও লামা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ উপজেলার হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগির সংখ্যা। তাছাড়া দুর্গম পাহাড়ি পল্লী ও গ্রামগুলোতে ঘরে ঘরে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে অনেক লোকজন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, থানছি উপজেলার দুর্গম জিন্নাহপাড়া, চিংথুই হেডম্যানপাড়া, রায় বাহাদুরপাড়া, অংসাং খেয়াংপাড়া, থুইছা খেয়াংপাড়া, সত্যমনি ত্রিপুরাপাড়াসহ সীমান্তবর্তী গ্রাম এবং লামা ও বান্দরবান সদরের ডলুপাড়াসহ কয়েকটি পাড়ায় ম্যালেরিয়া দ্রুত ছড়াচ্ছে।
ওই এলাকাগুলোতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য দুইজন চিকিৎসকসহ চারটি মেডিকেল টিম ও একটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, বর্ষা মৌসুমে এলাকাগুলোতে হঠাৎ করে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে। ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের লক্ষে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।
থানছি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা বাংলানিউজকে জানান, দুর্গম অঞ্চলগুলোতে যথাসময়ে চিকিৎসা সেবা না পৌঁছানোর কারণে ম্যালেরিয়া মহামারি আকার ধারণ করেছে। চিকিৎসার অভাবে রোগীর মৃত্যু সংখ্যা বাড়ছে।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. মংতেঝ বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থানছিতে চারজন, আলীকদম ও রুমায় দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে অন্যরা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৪