ঢাকা: রমজানের ঈদের পরেই যোগ্যাতা ও দক্ষতা অনুযায়ী ডাক্তারদের পদোন্নতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
বুধবার রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ‘এনআইও সবুজায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও ইফতার মহাফিল’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, অন্ধত্য নিবারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেবার মান প্রসারিত করেছে। ঈদের পর যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী ডাক্তারদের পদোন্নতি দেওয়া হবে। ডাক্তাররা চাইলে তাদের নিজ জেলায়, এমনকি থানায় নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মনুষ অনেক সময় অধৈর্য হয়ে পড়েন। কোনো ডাক্তার কখনো ইচ্ছা করে রোগীর ক্ষতি করতে পারেন না। তবে কিছু ডাক্তার আছে যারা ইচ্ছা করে রোগীদের ক্ষতি করেন। অবশ্য এরা ডাক্তার না ডাক্তার নামে অমানুষ।
বিএমএ-এর নেতাদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, আপনারা ডাক্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন, যাতে কমপক্ষে দুই বছর গ্রামে থাকেন।
এসময় তিনি বলেন, গ্রামে কোনো ভেজাল জিনিস পাওয়া যায় না। সব ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। তাহলে কেন আপনারা গ্রামে যাবেন না?
মোহাম্মদ নাসিম জানান, গাজার অহতদের জন্য বাংলাদেশ থেকে ওষুধ পাঠানো হবে।
অনুষ্ঠানে যোগদিতে এসে মন্ত্রী জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে শিশু চক্ষু বিভাগ উদ্বোধন করেন এবং হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একটি বকুল গাছ রোপন করেন।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জালাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ইকবাল আর্সালান।
দীন মো. বলেন, বছরে দুই লাখ সানী বিনামূল্যে অপারেশন করা হয়। এজন্য রোগীদের কোনো টাকা দিতে হয় না।
নতুন ডাক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রথম দুই বছর অবশ্যই গ্রামে থাকতে হবে। এটি কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, হাসপাতালটিতে ২০১৩ সালে নয় হাজার রোগীর চোখ অপারেশন করা হয়েছে এবং ২০১৪ সালে প্রায় পাঁচ হাজার রোগীর অপারেশন করা হয়েছে। রেটিনা বিভাগে বছরে ২০ হাজার রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়। ১৩টি অপারেশন বিভাগ আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৪