বর্তমানে সোমা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি আছে। বার্ন ইউনিটের ৩য় তলায় শিশু বিভাগে কথা হয় সোমার দাদী হালিমা বেগমের সঙ্গে।
তিনি জানান, ওর বাবা শফিকুল ইসলাম সুমন সৌদি প্রবাসী এবং মা ইয়াসমিন আক্তার গৃহবধূ। এক ভাই এক বোনের মধ্যে সোমা ছোট।
জন্মের সময় তার ডান হাতে লালচে ফোলা দাগ দেখা যায়। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে ফোলা আরও বাড়তে থাকে। তবে তা সারানোর জন্য বিভিন্ন হোমিও চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিয়মিত হোমিও ওষুধ খাওয়ানোর পরও কোনো প্রতিকার হয়নি বলে জানান সোমার দাদী।
এরপরও দুই দুই বার ঢাকার পিজি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু সেরে ওঠেনি সোমা। গত ৩ বছরে তার হাতের আকৃতি আরও অস্বাভাবিক হতে থাকে। এখন হাতের অবস্থা এতটাই খারাপ যে মেয়েটি হাত ঠিকমতো নাড়াতে পারছে না।
সোমা স্থানীয় সোনার বাংলা মডেল স্কুলের ১ম শ্রেণিতে পড়ে। কিন্তু অস্বাভাবিক আকৃতির হাতের জন্য সে নিয়মিত স্কুলেও যেতে পারে না।
দাদী হালিমা বেগম বলেন, টিভির খবরে সব সময় বিরল রোগী মুক্তামনিকে দেখা যায়। এখানকার চিকিৎসকরা অপারেশন করে তার হাত ভালো করে দিচ্ছে। সেই আশায় আমার নাতিনীকেও নিয়ে এসেছি।
শিশুটির বিষয়ে ঢামেক বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডাক্তার সামন্ত লাল সেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্য ডাক্তারের অধীনে ভর্তি হওয়ায় আমি শিশুটির ব্যাপারে এখনও কিছু জানি না। তবে আগামীকাল শিশুটিকে দেখে পরে বলতে পারবো শিশুটি কী রোগে আক্রান্ত এবং তার কী অবস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
এজেডএস/এএম/এমজেএফ