বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) রাজধানীতে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট বিশ্বের বৃহত্তম বার্ন ইনস্টিটিউটের সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ঢাকার চাঁনখারপুলে অবস্থিত ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, পোড়া অসহায় রোগীদের জন্য এখন আর কোনো ধরনের দুশ্চিন্তা করতে হবে না। এই হাসপাতালটি রোগীদের সেবা দেওয়া ছাড়াও এ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরিতেও ভূমিকা রাখবে। এভাবে স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। আমাদের গড় আয়ু ও জিডিপি বেড়েছে। অনেক সমস্যাও সৃষ্টি হচ্ছে, অনেক প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ কারণে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে ও তার কার্যক্রম চলছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের ইতিহাস বলতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বিএনপি-জামায়াত জোট মানুষকে আন্দোলনের নামে ঝলসে দিচ্ছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী এই ইউনিটকে সম্প্রসারিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আগে এই ইউনিট শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চালু করেছিলেন। পরে তা ঢামেক ইউনিটে চালু করা হয়। বর্তমানে এটি ইনস্টিটিউটে রুপান্তরিত হয়েছে। ফলে দেশের বাইরে যাওয়া বন্ধ হওয়া ছাড়াও দরিদ্ররা বিশেষ করে উপকৃত হবে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব ইউসুফ হারুন, সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়কারী ডা সামন্ত লাল সেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
এমএএম/এএটি