ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

খুলনায় বেড়েছে জ্বর-সর্দির রোগী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
খুলনায় বেড়েছে জ্বর-সর্দির রোগী চিকিৎসক রোগীর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন, ফাইল ফটো

খুলনা: দিনে প্রচণ্ড গরম। বৃষ্টি হলে রাতে ঠাণ্ডা।

তাপমাত্রার এ তারতম্যের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না শরীর। তাতেই গড়বড় করছে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি। সেই ফাঁকে হামলা চালাচ্ছে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া। এর ফলে খুলনায় ঘরে ঘরে মানুষজন সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ মনে করে পরীক্ষা করলেও করোনা ধরা পড়ছে না।  

চিকিৎসকরা বলছেন, এসময়ে আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য যে জ্বর আসে তাতে সাধারণভাবে সবার আগে সর্দি হয়। নাক দিয়ে পানি পড়ার প্রবণতা তৈরি হয়। করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে খুব কমই নাক দিয়ে পানি পড়ার লক্ষণ দেখা গেছে। তাই সর্দি থাকলে সাধারণ জ্বর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে যেকোনো জ্বরে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

তারা আরও বলছেন, বর্তমানে ভাইরাল জ্বর একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত হয়েছে। তবে কোন ধরনের ভাইরাস দ্বারা কোন জ্বর হচ্ছে তা শনাক্ত করা জরুরি। সাধারণ ফ্লুর মতো এসব ভাইরাল রোগের লক্ষণ দেখা দিলেও জটিলতার আশঙ্কা বেশি থাকে। সতর্ক থাকলে এসবের জটিলতা এড়ানো সম্ভব। তবে শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং হৃদযন্ত্র, ফুসফুস ও লিভারের অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তিসহ যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের জন্য এসব জ্বর ঝুঁকিপূর্ণ।

মহানগরের সোলায়মান নগরের বাসিন্দা মামুন আলী জানান, ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একে একে ঘরের পাঁচজনই অসুস্থ। এ জ্বর যার হচ্ছে সে শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল হয়ে পড়ছে।

মহানগরের খান জাহান আলী রোডের বাসিন্দা মোস্তফা বলেন, হঠাৎ সীমাহীন জ্বর। পরীক্ষা করে দেখা গেছে করোনা নেই। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ভাইরাল জ্বর।

খুলনা শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আল আমিন রাকিব বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের হাসপাতালেও আসা শিশুদের মধ্যে জ্বরের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হঠাৎ অত্যাধিক গরম ও মাঝে মধ্যে বৃষ্টি। এ গরম-ঠাণ্ডায় ভাইরাল জ্বর হচ্ছে। প্রথমে কাশি দিয়ে শুরু হয় পরে জ্বর। আবার অনেকের কাশি থাকে না। একজনের হওয়ার পর ঘরের সবার হচ্ছে।

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আজিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বলতে গেলে প্রতিঘরেই জ্বরের রোগী আছে। প্রথমে একজনের শুরু হচ্ছে তারপর এক এক করে সব ফ্যামিলি মেম্বার জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। জ্বরের সঙ্গে মাথাব্যথা, সর্দি, কাশিও আছে অনেকের। তবে ম্যাক্সিমামই সাধারণ প্যারাসিটামল, সর্দি কাশির ওষুধে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। তাই বলে কোনো জ্বরকেই হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। বর্তমানে জ্বরের অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে, যেমন সাধারণ ফ্লু/ভাইরাল ফিভার/করোনা/ডেঙ্গু ইত্যাদি। তাই জ্বর হলে বাড়িতে বসে না থেকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডেঙ্গু বা করোনা ভাইরাসের ইনফেকশন নেই সেটা নিশ্চিত হতে হবে। কারণ করোনা যদি হয়েই থাকে তাহলে জ্বর হবার তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে সুস্থতার চান্স অনেকাংশে বেড়ে যায়। সুতরাং বর্তমানে কোনো জ্বরকেই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
এমআরএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।