ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১০
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী

শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও ভাষাতত্ত্ববিদ  ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলাভাষার প্রাচীন নিদর্শন চর্যাপদাবলী বিষয়ে গবেষণা করে প্যারিসের সোরবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে প্রথম ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও মধ্যযুগের ইতিহাস রচনাসহ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করেছেন।



১০ জুলাই ছিল ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ১২৫তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে ঢাকার এলিফেন্ট রোডের খায়ের ম্যানসনের বাঙালি সমগ্র জাদুঘর আয়োজন করে তাঁর ওপর বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনী।

এ জাদুঘরটিতে ঢুকলে মনে হবে এটা যেন বাঙালি গুণীজনদের মিলনমেলা। জাদুঘরের প্রশস্ত গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, জসীমউদদীন, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লহ, বেগম রোকেয়া, লালনসহ বহু গুণীজনের পোর্ট্রেট।

তবে এখানে এবার আলাদাভাবে প্রদর্শন করা হচ্ছে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর বিভিন্ন বই, দুর্লভ পান্ডুলিপি, চিঠিপত্র, চশমা, মানিব্যাগ, ভিজিটিং কার্ডসহ তাঁর নানা বয়সের আলোকচিত্র। রয়েছে তাঁর স্বহস্তে লেখা বইয়ের ভূমিকার মূল কপি এবং ইংরেজি হাতের লেখার পান্ডুলিপি।

প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে তার বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত, বাংলা ব্যাকরণসহ কয়েকটি বই। এছাড়া আছে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত পূর্বপাকিস্তানের আঞ্চলিক অভিধানের প্রথম সংস্করণ ও আলাওলের পদ্মাবতী।

প্রদর্শনীতে রয়েছে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর বিভিন্ন ভাষায় দেওয়া নিজের স্বাক্ষরপত্রসহ শিল্পী মুর্তজা বশীরকে লেখা তিনটি চিঠি ও সাতটি পোস্টকার্ড।

আলোকচিত্রগুলোর দিকে তাকালে চমকেই যেতে হয়। এখানে দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, কাজী মোতাহার হোসেনসহ দেশি-বিদেশি অনেক গুণীজনের সাথেই রয়েছেন শহীদুল্লাহ। দেখা যায় নিজ পাঠকক্ষে, প্যারিসে কিংবা পরিবারের সাথে শহীদুল্লাহকে।

প্রদর্শনীতে বিভিন্ন সময় তোলা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মোট ৫০টি দুর্লভ আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে।

শহীদুল্লাহর আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, কবীর চৌধুরী, নাট্যকার আতিকুল হক চৌধুরীসহ আরও অনেকেই।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি খোলা থাকে। এর মধ্যে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মধ্যাহ্ন বিরতি। প্রদর্শনী শেষ হবে ২৪ জুলাই।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৫৫৯, জুলাই ১২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।