স্যাটানিক ভার্সেসের লেখক সালমান রুশদি। ১৯৮৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইরানের ধর্মীয় নেতা ইমাম খোমেনি ফতোয়া জারি করে বইটিকে নিষিদ্ধ করলেন।
অবশ্য ফতোয়া জারির ১০ বছরের মাথায় ১৯৯৮ সালে ইরান সরকার জানায়, ফতোয়া প্রত্যাহারের এখতিয়ার তাদের নেই। তবে রুশদিকে কেউ যদি হত্যা করতে চায়, তাকে সরকারের তরফ থেকে বাধা দেওয়া হবে না, হত্যার ব্যপারে সাহায্যও করা হবে না। এ ঘোষণার পর রুশদি ফিরে আসেন স্বাভাবিক জীবনে।
আজ অবধি রুশদির বিরুদ্ধে জারিকৃত ফতোয়া নিয়ে হাজার খানেক প্রবন্ধ ও ৬ টি বই লেখা হয়েছে। কিন্ত রুশদি এ প্রসঙ্গে ওই অর্থে কোনো কিছু লেখেননি। সম্প্রতি ১৯৮৯ থেকে ৯৮ সাল পর্যন্ত ১০বছরের ডায়েরি দেখতে দেখতে তার মনে হয়েছে এখন অনেকটা উপন্যাস লেখার দৃষ্টিতেই তাকাতে পারেন ওইগুলির দিকে। রুশদির অন্য উপন্যাসের চেয়ে এখানে পার্থক্য কেবল দুটো। প্রথমত এই গল্পটি বানানো নয়। দ্বিতীয়ত এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র রুশদি নিজেই।
সম্প্রতি একটি আন্তজার্তিক সাহিত্যপত্রিকা আয়োজিত অনুষ্ঠানে রুশদি ঘোষণা করেছেন এই নতুন বই লেখার কথা। তিনি বলেন ‘আমি এখন ওই সময়টার কথা লিখতে শুরু করেছি। অন্য লোকজন কত ফালতু কথাই না এক নাগাড়ে বলে গিয়েছে! আমার মনে হয়, এবার সময় এসেছে আমার দিক থেকে নিজের গল্পটা বলার। ’’
তথ্য : ইন্টারনেট
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৫৩৯, জুলাই ২০, ২০১০