কল্পলতা
পকেটের নির্জনতা থেকে ছিটকে আসা
উদাসী কয়েনের রূপলতা; তার সন্নিকটবর্তী জীবন
ভাজা ভাজা হয় অভিলাষী স্বপ্নের আঁচে।
এমনই জ্যামিতিক কন্ট্রাস্ট—
নিরুত্তাপ নির্মোহ ভুজরেখার সাথে তীব্র কোণে মিলে যায়
উদ্বাহু বহ্নির উৎক্ষেপ... ওই যে ভেঙেচুরে পড়ে আছে
বৃত্তের সুষমা... ওই যে দ্বিধাবিভক্ত জ্যা’র পাশে
ক্রল করছে পরিত্যক্ত ব্যাকরণ!
আর নির্মম অক্ষরবৃত্তে
শব্দশবের পাশে হলহল করে বেড়ে উঠছে কল্পলতা।
শব্দকোষ
বৃষ্টির শরীরে বজ্রের চিহ্নমাত্র থাকে না,
থাকে না মেঘের আদ্যোপান্ত ইতিহাস।
তবু পুরোটা শ্রাবণ বালিহাঁস ওঁত পেতে থাকে
রৌদ্রের খুব কাছাকাছি, পালকের ওম মেলে দিয়ে;
যেন ডিমের স্বভাবে প্রকাশিত হবে—
ডিমের অতীত কুসুমমগ্ন সেই নির্জনতা,
সেই নির্ঘোষ, বিজরি...
সেই সঞ্চারণশীল বাষ্পের ঈপ্সা,
টলমল জলকনায় লুকনো পতনস্পৃহা!
...তারপর বালিহাঁস স্বপ্নের খোঁজে ঘুমের ভেতর
ডুব দিলে, ভুস করে জেগে ওঠে হারানো শব্দকোষ—
বিজরি-বৃত্তান্ত!
অলক্তরাগ
কে তুমি মন্ময়
বাতাসের শরীরে রাখো জ্বরতপ্ত হাত
তারপর জলদেহে ঢেউ লিখে লিখে
ঢেউয়ের অপার মহিমায় লুপ্ত হয়ে যাও?
পড়ে থাকে সমুদ্র-পুরাণ... একা একা।
পথের ধুলোয়, কাদায়, ঘাসে—
নক্ষত্রবাণ হেনে হেনে, বিস্মৃতি ছেনে ছেনে
চিরকালীন বাল্মীকিরা
ছন্দবদ্ধ আঘাতে বন্ধ-আগল ভেঙে দিলে
কে তুমি মন্ময়
মহাকালের ধমনিতে সঞ্চালিত করো
অজর এক অলক্তরাগ?
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৪