প্রাচ্যের এক নিভৃত পল্লীতে বাস করেন পাদ্রী। খুব ভোরে পাখিরা আড়মোড়া ভেঙে জেগে ওঠার আগেই তিনি শয্যা ত্যাগ করেন।
সেদিন গাছে পানি দেয়া শেষ করে কেবল বাড়িতে ঢুকতে যাবেন এমন সময় কয়েকজন লোক খুবই করুণ সুরে তাকে ডাকে। ‘পিতা! আমাদের রক্ষা করুন। আমার বৌ মৃত্যুশয্যায়। শেষ নিঃশ্বাস নেওয়ার আগে সে একবার আপনার দুআ চায়। ’
‘কোথায় থাকে তোমার স্ত্রী?’
‘এই তো পাশের এক গ্রামেই আমাদের বাড়ি। আপনার বাহন প্রস্তুত আছে। ’—বলেই একটু দুরে দাঁড়ানো দুটো গাধার দিকে ইঙ্গিত করে।
নিশ্চয় যাবো আমি। একটু অপেক্ষা করো ছেলেরা। আমি অন্য পাদ্রীদের একটু বলে আসি আর আমার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে আনি। ’
আমাদের হাতে একদম সময় নেই। একজন বলে অধৈর্য কণ্ঠে। মেয়েটি আর বেশিক্ষণ বাঁচবে না। আপনি আমাদের রক্ষাকর্তা। মৃত্যুর পূর্বে মেয়েটির জন্য একটু দুআ করে দিবেন অনুগ্রহ করে। এক্ষুণি চলুন পিতা। খুব দূরে নয়। সূর্য মাথার উপর ওঠার আগেই আপনি ফিরে আসতে পারবেন। ’
ঠিক আছে বাবারা। চলো তবে আর দেরি করবো না। খুব আগ্রহ নিয়েই পাদ্রী একটি গাধার পিঠে উঠে বসেন। অন্যটিতে সেই মেয়েটির স্বামী। দ্রুত বেগে চলে গাধা দুটি। প্রায় চারঘণ্টা একটানা চলার পরও গ্রামের কোনো চিহ্ন চোখে পড়ে না পাদ্রীর। যতবারই জিজ্ঞেস করেন, লোকটি উত্তর দেয় এই তো সামনে। দুপুর গড়িয়ে যাবার পর তারা পৌঁছে এক গ্রামে। ঘেউ ঘেউ করে এক কুকুর আর কিছু লোক তাদের অভ্যর্থনা জানায়। পাদ্রীকে তারা নিয়ে যায় গ্রামের বড় এক বাড়িতে। যেখানে একটি মেয়ে খাটে শুয়ে উপর দিকে তাকিয়ে আছে মৃতের মতো।
পাদ্রী মেয়েটিকে ডাকে মৃদুস্বরে। কিন্তু মেয়েটি কোনো জবাব দেয় না। শেষ মুহূর্ত মনে করেই পাদ্রী পাশে বসে তার জন্য প্রার্থনা শুরু করে। একটু পরেই মেয়েটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফোঁপাতে থাকে। হয়তো মেয়েটির আত্মা বেরিয়ে যাচ্ছে— ভাবে পাদ্রী। কিন্তু মেয়েটি এদিক ওদিক তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলে, কোথায় আছি আমি?
বিস্মিত পাদ্রী বলে, তুমি তো তোমার বাড়িতেই আছো মা।
এক গ্লাস পানি খাবো।
আনন্দে চিৎকার করে স্বামীটি। পানি আনো কে আছো!
অনেক পানি খায় মেয়েটি। আবার বলে, ‘এখানে কোনো খাবার নেই? আমার যে খুব খিদে পেয়েছে। ’
সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে তাকে খাওয়াতে। মেয়েটি পেটপুরে খায় মানুষের বিস্মিত দৃষ্টির সামনে। তারপর সুস্থ মানুষের মতো হেঁটে চলে যায় বাইরে। সবাই হতবাক হয়ে পড়ে। ছুটে এসে পড়ে পাদ্রীর পায়ে। অজস্র চুমুতে ভরে দেয় তার হাত পা।
‘প্রভু! আমাদের পবিত্র পুরুষ! কী মহিমা আপনার! মৃত নারীকে জীবিত করে দিলেন। আপনার আগমনে আমাদের গ্রাম পবিত্র হয়ে গেল। জানি না কিভাবে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবো আমরা। কী বিনিময় দিয়ে আপনার ঋণ শোধ করবো। ’
‘আমি দুআ ছাড়া কিছুই করিনি। ধন্যবাদ বা পুরস্কার পাবার কোনো অধিকার নেই আমার। এ সবই মহান আল্লাহর মহিমা। তিনিই জীবনমৃত্যুর মালিক। ’
‘আপনি যতই বিনয় প্রকাশ করুন না কেন এটা এক অলৌকিক নিদর্শন যা আল্লাহ আপনার হাত দিয়ে দেখিয়েছেন। ’—একজন বলে।
‘পিতা! আপনি আমাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন এ অনুগ্রহ করে। আমরা কিছুতেই আপনাকে ছাড়বো না। আমাদের সমাজে পবিত্র পুরুষদের সম্মান জানানোর বিশেষ কিছু রীতিনীতি আছে। ’ সুস্থ হয়ে যাওয়া মেয়েটির স্বামী বলে।
স্ত্রী মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছে তাই সে কিছুতেই তিনদিনের আগে পাদ্রীকে তার বাড়ি থেকে যেতে দিবে না। এটা সর্বনিম্ন সময় পাদ্রীর জোরাজুরিতে, না হলে আরো অনেকদিন সে পাদ্রী রেখে দিত বিশেষ যত্ন-আত্মি করে। সবরকম আরাম আয়েশের সুব্যবস্থা করে পাদ্রীকে একরকম জোর করেই তিনদিন রাখে।
পাদ্রীর ফিরে যাওয়ার দিন লোকটি অনেক কিছু দেয়। রুটি, ফলমূল আর গির্জার জন্য পাঁচ পাউন্ড। কোনোরকমে গাধার পিঠে বসে যেই রওনা দিবে এমন সময় কাঁদতে কাঁদতে ছুটে আসে এক যুবক। এসেই মাটিতে বসে বিলাপ শুরু করে, পিতা! আমার পিতৃতুল্য চাচা খুব অসুস্থ। আপনার অলৌকিক ক্ষমতার কথা আমাদের গ্রামেও পৌঁছেছে তাই তিনি অস্থির একটিবার আপনাকে দেখতে চান মরবার আগে।
‘কিন্তু বাবা আমি যে বাড়ি যাচ্ছি এখন। ’— খুব অসহায় হয়ে পড়েন পাদ্রী। বাড়ি যাওয়া জরুরি আবার ভক্তদের মনে কষ্ট দিতেও তার খারাপ লাগে।
লোকটা গাধার দড়ি টেনে ধরে। ‘সামান্য সময় লাগবে যেতে আসতে। আমি কিছুতেই যেতে দেবো না আপনাকে। চাচাই আমার সব। তার অন্তিম ইচ্ছা পূর্ণ করতে চাই পিতা!’
‘ঠিক আছে চলো। কোথায় থাকে তোমার চাচা?’
‘খুব কাছেই। কয়েক মিনিটের দূরত্ব এখান থেকে। ’
না গিয়ে কোনো উপায় ছিল না পাদ্রীর। মিনিট নয় ঘণ্টাখানেক পর আরেকটি গ্রামে পৌঁছেন তিনি। এখানেও একটি কক্ষে মৃত্যুপথযাত্রী একটি লোক শুয়ে আছে। আত্মীয় পরিজনরা তাকে ঘিরে বিলাপ করছে। পাদ্রী তার পাশে বসে প্রার্থনা শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মুমূর্ষু লোকটি উঠে বসে আর পানীয় খাবার চায়। তারপর সুস্থ হয়ে যায় পুরোপুরি। এবার এ গ্রামের মানুষেরা বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পাদ্রীকে নিয়ে মেতে উঠে। কিছুতেই তারা পাদ্রীকে তিনদিনের আগে গ্রাম ছেড়ে যেতে দিবে না। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ এটা তাদের জন্য অবশ্য কর্তব্য। পাদ্রীকে গ্রামের লোকেরা তিনদিন ধরে সম্মান ও শ্রদ্ধায় ভাসিয়ে দেয়।
তিনদিন পর আবারো অনেক মালামাল আর মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বাড়ির পথে যাত্রা করতেই পাশের গ্রামের আরেকটি লোক তার পথ রোধ করে। তাদের গ্রামে একটু পদধুলি না দিয়ে পাদ্রী কিছুতেই যেতে পারেন না। তারা কেন বঞ্চিত হবে তার আশীর্বাদ থেকে। পাদ্রী এবারও অসহায় আত্মসমর্পণ করেন মানুষের ভালোবাসার কাছে। এ গ্রামে এসে পাদ্রী এক পঙ্গু লোককে একটু স্পর্শ করে দিতেই সে সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। ছেলে বুড়ো সবাই আনন্দে লাফিয়ে উঠে পাদ্রীর অলৌকিক ক্ষমতা তাদের গ্রামেও ঘটেছে বলে। এ গ্রামেও তিন রাত কাটে পাদ্রীর ভক্তকুলের আদর আপ্যায়নে। অবশেষে তার ফেরার সুযোগ ঘটে। এ গ্রামের লোকেরা আগের গ্রামের লোকদের চেয়ে বেশি উপহার দেয় আর বেশ কিছু টাকাও দেয় গির্জার কল্যাণার্থে। সবমিলিয়ে প্রায় বিশ পাউন্ড পেয়েছেন পাদ্রী যা তার জামার মধ্যে গোপন স্থানে যত্ন করে রেখেছেন। তবু পথে চোর ডাকাতের ভয়। ভক্তদের সে আশঙ্কার কথা বলতেই তারা তাকে এগিয়ে দিতে পিছু পিছু হেঁটে আসে।
‘আমরা জান দিয়ে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। আমাদের ভালোবাসা আপনাকে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করবে। আপনজনের কাছে পৌঁছে দিয়েই ফিরে আসবো আমরা। আপনার চেয়ে মূল্যবান আর কিছু নেই আমাদের জীবনে। ’
পাদ্রী বিনীত ভঙ্গিতে বলেন, ‘আপনাদের অনেক কষ্ট দিচ্ছি আমি নিরুপায় হয়েই। পথে ডাকাতের খুব উৎপাত না হলে এ পথটুকু একাই যেতাম।
‘এটা কোনো কষ্টই নয় আমাদের জন্য। এ আমাদের কর্তব্য। সত্যিই দিন দুপুরে এ পথে খুন রাহাজানি অপহরণ হর হামেশাই হয়। ’
পাদ্রীও তাদের সুরে সুর মেলান। ‘প্রশাসনও ব্যর্থ তাদের দমন করতে। আমি অনেকবার অভিযোগ জানিয়েছি কিন্তু পুলিশ তাদের ধরতে পারেনি। এ পথে চলাচল করা যাত্রীরা প্রায়ই অপহৃত হয় আর পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় করা হয়। একবার এক গাড়িতে যাত্রীদের সাথে পুলিশও ছিল। এক যাত্রী গাড়ি থেকে নামতেই ডাকাতদল তাকে আটক করে। তার চিৎকারে পুলিশ কিছুই করেনি। পুলিশও ভয় পায় এদের ক্ষমতাকে। ’
হেসে উঠে লোকগুলো। ‘কোনো ভয় নেয় পিতা! যতক্ষণ আমরা আছি কেউ কিছু করতে পারবে না আপনার। খুব নিরাপদেই আপনি বাড়ি ফিরে যাবেন আমাদের সঙ্গে। ’
না না। আমি একটুও ভয় পাচ্ছি না তোমরা আছো বলে। যে সম্মান আর ভালোবাসা দিয়েছ আমাকে তার কোনো তুলনা হয় না। তোমাদের শ্রদ্ধাভক্তি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। ’
‘এভাবে বলবেন না পিতা। আপনি যে কত মূল্যবান আমাদের কাছে তা বোঝাতে পারবো না। ’ বাকী পথটুকু লোকগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পাদ্রীর অলৌকিক ক্ষমতার কথাই আলোচনা করে। একসময় পাদ্রী বলে, ‘গত কয়েকদিনে যা ঘটেছে তা আর কখনো আমার জীবনে ঘটেনি। সত্যিই কি আমার অলৌকিক ক্ষমতা আছে বলে মনে করো তোমরা?’
‘নিশ্চয় পিতা। কোনো সন্দেহের তো কারণ নেই সবকিছুই ঘটেছে আমাদের চোখের সামনে। ’
‘আমি তো প্রেরিত পুরুষ নই। কোনো অলৌকিক ক্ষমতাও তো আমার নেই। গত নয়দিনে যা ঘটেছে সব তোমাদের জন্যই ঘটেছে। ’
‘আমাদের জন্য! কী বলতে চান পিতা!’
তোমরাই সব। সব কিছু ঘটেছে তোমাদের কল্যাণেই। ’
আমরাই সব!! লোকগুলো একে অপরের দিকে অবাক হয়ে তাকায়। ফিসফিস করে কথা বলে নিজেদের মধ্যে। পাদ্রী বলতে থাকেন, ‘এটা হলো তোমাদের নিখাদ বিশ্বাসের ফল। বিশ্বাসে মেলায় বস্তু। তোমরা ভাবতেই পারবে না তোমাদের মনে কত বিস্ময়কর শক্তি লুকিয়ে আছে। তোমাদের আন্তরিক বিশ্বাস অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। সত্য বিশ্বাস যে কত ক্ষমতা রাখে তোমরা জানো না। অলৌকিকত্ব তো মানুষের মনেই চাপা থাকে। যেমন পাথরের নিচে থাকে পানির উৎস। বিশ্বাসের জোরে সেই অলৌকিক ক্ষমতা বেরিয়ে আসে। ’
বিশ্বাসের বিস্ময়কর ক্ষমতা নিয়ে বক্তৃতা দিতে পাদ্রী এতটাই আত্মমগ্ন হয়ে পড়েন যে তার ভক্তরা যে এক এক করে কেটে পড়েছে তিনি বুঝতেই পারেননি। বাড়ির সীমানায় এসে গাধা থামিয়ে যেই ধন্যবাদ জানাতে পিছু ফেরেন দেখেন আশে পাশে কেউ নেই। খুবই অবাক হন পাদ্রী তবু বাড়ি ফিরে এসেছেন বলে খুব স্বস্তি পান। গাধা থেকে নামতে না নামতেই তার পরিজন, অন্যান্য পাদ্রী ছুটে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে। অশ্রুসিক্ত হয়ে তাকে চুমু খায়। পিতা! পিতা! তারা কথা রেখেছে তবে। ফিরিয়ে দিয়েছে আপনাকে সুস্থ শরীরে। যতটাকা যায় যাক আপনি আমাদের কাছে অমূল্য।
পাদ্রী তো হতবাক। এত কান্নার কোন কারণই খুঁজে পাচ্ছেন না। আবার টাকা দেয়ার কথা শুনে তো আরো অবাক।
‘কিসের টাকা? টাকা দেয়ার কথা আসছে কেন?’
‘যে টাকা আমরা আপনার মুক্তিপণ হিসেবে ডাকাতদের দিয়েছি। ’
‘কোন ডাকাত? কিসের ডাকাত!
‘যারা আপনাকে অপহরণ করেছিল। প্রথমে তো তারা এক হাজার পাউন্ড দাবি করলো। তারপর বলে আপনার ওজনে সোনা নিবে। বহু অনুনয় বিনয় করে পাঁচশ পাউন্ডে রাজি হয় তারা। গির্জার ফান্ড থেকে এ টাকা পরিশোধ করেছি আমরা। ’
‘পাঁ চ শ পাউন্ড!!!!!!!!! চিৎকার করে উঠে পাদ্রী। ওরা বলেছে যে ওরা আমাকে অপহরণ করেছে!!!!
হ্যাঁ। আপনি যাবার তিনদিন পর একদল লোক এসে মুক্তিপণ দাবি করে। তারা জোর দিয়ে বলে টাকা না পেলে তারা হত্যা করবে আপনাকে। আর যদি তাদের দাবি মিটানো হয় তবে সুস্থ শরীরে আপনাকে ফেরৎ দিবে। ’ পাদ্রীর এক এক করে মনে পড়ে গত নয়দিনের সব ঘটনা।
আপন মনেই বলে, সব মিলে যাচ্ছে এতক্ষণে। ঐ মৃত নারী, অসুস্থ লোক, পঙ্গু লোক সবাই মিলে বোকা বানিয়ে রেখেছিল আমাকে। কত দক্ষ অভিনয় তাদের!
সবাই আবার খুঁটে খুঁটে দেখে পাদ্রীকে। ‘বাবা! আপনার সুস্থতা ছাড়া আর কিছু চাই নি আমরা। প্রভুর অশেষ কৃপায় ফিরে পেয়েছি আপনাকে। ওরা আপনাকে কোনো কষ্ট দেয়নি তো? কিভাবে রেখেছিল আপনাকে। কী কী করে নিলো আপনাকে দিয়ে। ’
হতভম্ব পাদ্রী জবাব দেয়, ‘ওরা আমাকে দিয়ে অলৌকিক কাজ করিয়েছে। আর গির্জার টাকা দিয়ে সে অলৌকিক কাজের মূল্য দিতে হয়েছে। ’
লেখক পরিচিতি:
[তাওফিক আল হাকিম আরবী নাট্যসাহিত্যের অগ্রপথিক। ছোটগল্পেও তার সমান দক্ষতা। ১৮৮৯ সালে মিশরে জন্মগ্রহণ করেন। আইন ও সাহিত্য নিয়ে পড়ালেখা করেন কায়রো এবং প্যারিসে। চাকরি জীবনে বিভিন্ন সরকারি পদ অলঙ্কৃত করেন এবং ইউনেস্কোর দুত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার নাটক গল্প থেকে অনেক চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। ইউরোপের অনেক ভাষায় তার রচনা অনূদিত হয়েছে। ১৯৮৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ]
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৪