ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ঈদ ও পূজার বিশেষ আয়োজন

অফ দ্য রেকর্ড | মেহেদী উল্লাহ

দেশি-বিদেশি গল্প / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৪
অফ দ্য রেকর্ড | মেহেদী উল্লাহ অলঙ্করণ: খেয়া মেজবা

কচু পাতায় পানি পিছলায়।
যে মেয়ের পানি পিছলায় না, মানে যে মেয়ে হাতের কোষে পানি নিয়ে কচু পাতায় ঢাললেও তা গড়িয়ে মাটি ছোঁয় না, পাতার ডাটা বরাবর মধ্যখানের খানিক গোটলাগাটলা জায়গায় টলমলে হয়ে রয় তার বরভাগ্য ভালো— তো সেই মেয়েদের গ্রামের নাম পাকিপুর।

এককালে এই গ্রামে বোধহয় মানুষের চেয়ে পাখির সংখ্যা বেশি ছিল, তাই ‘পাখি’ থেকে ‘পাকি’পুর।

হিসাব দিতে গেলে অনেক কথা! সেসব প্রকাশ্যেই বলা যায়। তা কনফিডেন্সিয়াল নয়, বেফাঁস, বরং রোকেয়া খালারটা অফ দ্য রেকর্ড। সত্তরের জলোচ্ছ্বাসটা না হলে আমাদের রোকেয়া খালার ইতিহাসটা অন্যভাবে লিখতে হতো। ঢলের পরেরদিন তার বিয়া হতে নিছিল গোপনে, কিন্তু আগের রাতে অত্যধিক গোপনে হবু বর সমুদ্রযাত্রা করায় বিয়ে বধ! শুধু সে হলেও চলতো, গোটা ফ্যামেলি ভেসে গেছিল। রোকেয়া খালার কচু পাতার পানি কোনোদিন পিছলায় নাই, তবু তার বরভাগ্য একটা! শুনেছি, নানি নাকি প্রায়ই তার উদ্দেশ্যে বলতেন, কিছুদিন পরপর গিয়ে পরীক্ষা করতে হয় ওটা। ছ’মাসে-ন’মাসে একবার কচুবনে গেলেই কি হলো নাকি। সেই থেকে কচুবনে ষোড়শীর যাতায়াত বেড়ে গেছিল বটে,  কিন্তু সেই পদচারণায় লাভ হয় নাই। হয়েছে কচু!

আমাদের খালাতো ভাই-বোনগুলোর ভাগ্য অবশ্য ভালো। বিশেষ করে খালাতো বোন কোনোদিন কচুপাতায় বরভাগ্য পরীক্ষা করেছে বলে শুনিনি বা মনে হয়নি। কী সব কোটায়-টোটায় ভাগ্য খুলে গেছে। তাছাড়া কোটায় না পেলেও তারই কোটার বদৌলতে জামাই বড়ই স্বয়ংসম্পূর্ণ। তা পাবলিক। ফলে রোকেয়া খালার অফ দ্য রেকর্ড-য়ে কমেন্ট করা প্রয়োজন।

রোকেয়া খালার সঙ্গে কয়েক যুগ পরে আমাদের সর্বশেষ কথা হয়েছে মোবাইলে। তাও ফিসফিসিয়ে। আমরা আনন্দের ঠেলায় জোরেশোরে বললেও তিনি ‘অনলি মি’ ধরনেই কথা বলেছেন যেন নিজে শুনলেই হলো, তবু আমরা চেষ্টা করেছি তার কথা যেন আমাদের ওয়ালে ট্যাগিত হয়। ফলে কিছু কথা অন্তত এদ্দিন পর তার মুখ থেকে শোনা গেল, বিশেষত আমার আম্মা খালার গলা শুনতে পেয়ে কী বলবেন বুঝতে পারছিলেন না। এত আনন্দ এনে দিতে পারতাম না, যদি না ফেসবুকে খালাতো ভাইটার সঙ্গে দেখা হতো। তার ফোন থেকেই খালার সঙ্গে কথা হয়েছে আমাদের। এখন প্রায়ই হয়, তবে খালার গলায় কখনোই জোর দেখি না।

মাঝেমাঝে মেজাজ খারাপ হয় আম্মার। বলেন, ‘ডাকাতের বংশে থেকে থেকে ওর গলাটা কেমন চোরাচোরা হয়েছে দেখছিস!’ আমরা আম্মার কথায় সবকালে ‘হুম’ কমেন্ট করি, এটাই নিয়ম, আম্মা ভীষণ কড়া। নানাকে কখনো দেখিনি, আম্মার জন্মের আগেই তিনি গেলেন, ফলে শোনা কথা, নানার কড়া মেজাজটাই নাকি আম্মা পেয়েছেন। সেবার ডাকাতরা জিদে আম্মার দুল ধরে টান দিলেন তো এই কড়া মেজাজের জন্যই। কেউ ভয়ে টুশব্দ করছিল না, আম্মা নাকি ডাকাত সর্দারকে বলেছেন, স্বাধীন হলে দেখে নেবেন, কাজটা ভালো হচ্ছে না মোটেও, ফলে স্বাধীনতার পর ডাকাত সর্দারের কিচ্ছু হয়নি, উল্টো আম্মার এখনো কান কাটা। গুলি করারও কোনো প্রয়োজন ছিল না। শুধু আম্মার ওই কথায় জেদিত হয় ডাকাত সর্দার  নাকি সোজা কেরোসিন কাঠের দরজা ছিদ্র করে দিসে রাইফেল থেকে গুলি বার করে। কেউ হতাহত হয়নি, দ্বারের ওপর দিয়ে গেছে। ভালো দরজাটার একপাল্লায় এখনো গুলির দাগখানি মোছেনি।

সত্তরের জোয়ারে সব ভেসে যাবার পর খালা নাকি আবারো নামলেন কচু পাতায় বরভাগ্য পরীক্ষা করতে। তো, সত্তরের নভেম্বরে জলোচ্ছ্বাস আর একাত্তরের জানুয়ারিতে নতুন বছর উপলক্ষেই জীবন আবার ঠিক হয়ে গেছিল। সবাই খালার জন্য ভালো পাত্রের দিন গুনছিল।

তারা একটি, দুটি, তিনটি করে এলো। অগাস্টের নিশিরাত, রাত-বিরাত। তখন লেফট-রাইট করতে করতে এলো। বিরাট বাড়ি, পাঁচপাঁচটা শান বাঁধানো পুকুর একবাড়িতে। ফলে অনুমান করা যায় কত বড়! রাতের বেলা পাইক-বরকন্দাজের মতো বর্ষা, বল্লম, লাঠি হাতে সারাবাড়িতে পাহারা থাকলেও, ডান-বাম করতে করতে আসা লোকগুলো জানে লাঠির বিরুদ্ধে লাঠি হলে চলবে না, তাই কাটা রাইফেল হাতে সবার প্রবেশ— শৃংখলাসমেতডানবামরত।

এই বাড়ির লোকজন অবশ্য বেশ বাড়িয়ে বলে সংখ্যাটা, মুরব্বিরা বলে কত হবে সব মিলিয়ে ত্রিশ-চল্লিশ জন। তবে মেয়েরা অর্থাৎ আমাদের খালার সমবয়সী বা বড়রা বলে কীসের ত্রিশ-চল্লিশ! সত্তরজন, সর্দারসহ একাত্তর, আমরা ঢোকার সময় বেড়ার ফুটো দিয়ে গুনেছি। বাড়িয়ে বলা ভালো, এতে সম্মান বাড়ে। তবেই বুঝতে বাকি থাকে না, কতবড় বাড়ি আর কত সানশওকত, টাকা-পয়সা, সিন্দুকের গয়না ইত্যাদি। এতসব নিতে সত্তর জন লোক লাগলো। পরের দিন অনেক কথা রটলো, সর্বস্ব লুটে নিয়েছে তাতে কারো আফসোস নাই, বলে কি-না, ওমা! এক্কেরে কাচা ডাকাত এগুলা, নেওয়ার সময় পথে পথে টাকা আর গয়না ফেলে-ফেলে গেছে, পাক্কা হলে কি আর কিছু হাতছাড়া করে; এত কষ্টের হানার ধন। যারা পাকা তারা আন্ধারেও পাকা, আলোতেও পাকা। কারো কারো সন্দেহ এতে বাড়ে, সবাই ডাকাত নয়, কেউ কেউ ডাকাত!

আমাদের খালাকে তুলে নিয়ে যাবারই তো কথা ছিল, হয়েছেও তাই, তুলে নিয়ে গেছে। পুরোবাড়ি ডাকাতিতে ছিল সত্তর জন আর খালাকে ডাকাতির তদারকে ছিল একজন, সবমিলিয়ে একাত্তরজন! সত্তরজনে জনে জনে সন্দেহ আছে, কিন্তু কেউ একজন খালাকে ঘাড়ে বয়ে নিয়ে গেছিল তা সবাই দেখেছে এবং মনে রেখেছে। তার চেহারা সবাই এর আগে আলোতে এতই দেখেছে যে আন্ধারেও চিনতে অসুবিধা হয় নাই। ফলে সত্তরের জলোচ্ছ্বাসেও যে খালা এই বাড়িতে টিকে গেছিলেন একাত্তরের এক অগাস্টের রাতে এসে তিনি নাই। আর তাই আমাদের আম্মার পরিবারের জন্য অগাস্ট অত্যন্ত শোকের মাস। এই বাড়ির বাচ্চারাও এইমাসে যথাযথ ভাবগম্ভীর থাকে— বড়দের দেখাদেখি।

দেখেন, শোক কি আর সুখে আসে? অফ দ্য রেকর্ডে বলি। মানে, সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী আর যাই করা হোক, ডাকাতের বংশের সঙ্গে তো আর রিসতা করা যায় না, তাই না? শুনে আমার নানি বিসমিল্লাতেই না বলে দিলেন। দরকার নেই মেয়ের বিয়ের, তার চেয়ে ঢের ভালো কচুপাতা নিয়ে আরো কিছুদিন থাকুক। খালা নাকি দেখতে-শুনতে খারাপ ছিলেন না, তবে ওই ডাকাতের চোখে আর কি। যেহেতু পছন্দটা সেই করেছে তাই মেয়েলি সুন্দর-অসুন্দর বিতর্ক তার ঘাড়েই চাপাই। যাই হোক, জানি না তাকে সরাসরি এভাবে ডাকাত বলা ঠিক হচ্ছে কিনা। এত বছর বাদে শুনলে আবার গর্দান নেবে। অবশ্য সে ডাকাতি করে নাই, ডাকাত ছিল তার বাবা, বাবার বাবা, বাবার বাবার বাবা— এভাবে বংশলতিকা গোড়ায় চলে যেতে পারে, তবু ডাকাতের রক্ত পজিটিভ।

ছেলে ভালো হোক মন্দ হোক তাতে আপত্তি নাই, বংশ ডাকাতের বলে সাঁঝেই না। ফলে সন্ধ্যায় এসে খেপলেন। একঢিলে দুই পাখি মারলেন পাকিপুরে। পছন্দের পাত্রীকে নিজেই উঠিয়ে নিয়ে গেলেন, টাকা-পয়সা, সোনাদানা তো নিলেনই। বস্তুত, জনাব সামসুল আলম রথও দেখলেন, কলাও বেচলেন। প্রণিধানযোগ্য এই যে, মেলার পরিবেশ বড়ই মনোহর ছিল।

ঘটনা শুনে কার কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল জানা যায় নি। তবে একবার নানির কাছে শুনেছিলাম সামসুল আলমের বড়ভাই বদরুল আলম নাকি পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন। এক চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, লোকমুখে তার কাছে ছোটভাইয়ের এমন গর্হিত খবর প্রচারিত হয়েছে, বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়ে ও প্রতিবাদ স্বরূপ তিনি আর কখনোই পূর্বপাকিস্তানে ফিরবেন না, ছোট ভাইয়ের মুখ দেখতে আগ্রহী নন তিনি। সেই চিঠিটা প্রাপক যুদ্ধ শেষের আগেই পেয়েছিল বোধয়। কে জানে, ঘটনা কতখানি সত্য, তবে এও সত্য অতি অল্পই কারো কারো হৃদয়ে বেদনা জাগায়। সেই ভাইয়ের দিল বোধ হয় দরিয়া।

সংগ্রাম শেষে মুক্তি এলেও খালা ছিলেন বন্দী। আমাদের খালা সংগ্রামও বোঝেন না, যুদ্ধও বোঝেন না, এমনকি সংগ্রাম আর যুদ্ধ এক কি না—তাও বোঝেন না, বোঝেন না কাকে বলে মুক্তি কিংবা স্বাধীনতা, তিনি যে আজতক বন্দী তাও হয়তো বোঝেন না, সেই যে অগাস্টের রাতে তাকে নিয়ে যাওয়া হলো শুধু এইটুকু হয়তো বুঝলেও বুঝতে পারেন।

এরপর আর কোনোদিন তিনি পাকিপুর আসেন নি। স্বজন মরলেও না। অন্য কারণ তো তুচ্ছ। আসেন নি দুই কারণে, তার ধারণা বিষয়টা লজ্জার যে তাকে তুলে আনা হয়েছে, তাই তার মনে হচ্ছে মুখটা তার পুড়ে গেছে, সো, পোড়ামুখী কোন মুখে পাকিপুরমুখি হবেন। অন্য কারণ, তাকে আসতে দেওয়া হয়নি। জেদ তো এখনো কাজ করে সামসুল আলমের, ইভেন এখন তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পরেও তার জেদ কাজ করে, তার প্রস্তাবে কেন আমাদের খালার পরিবার, মানে নানি রাজি হলেন না, সাড়া দিলেন না, তাই তিনি সুযোগে সব সাবাড় করলেন।

এপ্রসঙ্গে খালার সঙ্গে একবার ফোনে কথা হইছিল। শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে তাকে বলেছিলাম, দেখুন খালা, আমরা তো এখন বড় হয়েছি, অনেক কিছু বুঝতে শিখেছি, যদি কিছু মনে না করেন তবে কিছু কথা জিজ্ঞেস করতে পারি। তিনি অনুমতি দিলে আমি জানতে চাইলাম:
আচ্ছা, ঘটনা আম্মার কাছে অনেকবার শুনেছি। তিনি এখনো মনে পড়লে দুঃখ করেন। সেকি ভয়াবহ রাত! তারপর আবার আপনার সঙ্গে কতযুগ দেখা নেই তার, ফলে কষ্টটা আরো বেশি। নিজের আপন বোনকে দেখেন না কতকাল। আচ্ছা আপনার কষ্ট হয় না?
কষ্ট, সে তো হয় (ফিসফিসিয়ে)
এই বিষয়ে খালু কী বলে? তিনি কেন এইরকম করলেন?
তার কাছে দখল হচ্ছে পছন্দকে অধিকার করার জিনিস। ব্যক্তিভেদে এই দখল ও পছন্দ নানারকমের হয়।
আচ্ছা, আপনাকে তুলে নিয়ে যাবার পর অনেক খারাপ লেগেছিল, না?
খালা কোনো উত্তর না দিয়ে নীরব থাকলেন। পরে নিজেকেই বেকুব মনে হলো, ধুর, এইটা কোনো প্রশ্ন করলাম! খারাপ না লাগার কী আছে।

অবশ্য পরে যখন খালার সঙ্গে অনেক ফ্রি হয়ে গেলাম কথাবার্তায় তখন তিনি আরো ম্যালা কিছু বলেছিলেন। সরাসরি কিছু না বললেও ভাবে বুঝেছি অনেক কিছু। অফ দ্য রেকর্ডে বলি। দিনের পর দিন ধর্ষিত হয়েছেন আমাদের খালা, আজো মেনে নিতে পারেননি, না মানতে মানতেই বয়স পেরিয়ে গেল, যদিও তুলে নিয়ে যাবার পরদিন সকালেই বিবাহ হয়েছে। জোর করে কবুল বলিয়ে ছেড়েছে সামসুল আলম। সেই থেকে শাস্ত্রমতে তিনি আমাদের খালু। খালুর সঙ্গে জীবনেও আমাদের সামনাসামনি কথা হয় নাই, হবে কিনা জানি না। নির্বাচনের সময় পোস্টারে তার ছবি দেখি, এই যা। টানা তিনবারের চেয়ারম্যানের পর এখন তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান।

আম্মা ঘটনাগুলো শোনাতে থাকলে কেমন যেন গায়ে-মাথায় নেটওয়ার্ক থাকে না। খালাতো ভাইদ্বয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়, তবে তারা ভুলেও পাকিপুরের পথ মাড়ায় না। থাকছে অবশ্য ঢাকায়। খালাতো বোনের কথা তো আগেই বলেছি। আমাদের খালুর সর্বশেষ খবর, সামনে তিনি এমপি ইলেকশন করবেন। আশা করি বিপুল ভোটে জয়ীও হবেন, শুনেছি এলাকায় তার বিপুল নামডাক। ব্যাপক সমাজসেবক।

আসলে এইসমস্ত ভয়ঙ্কর কাণ্ডকীর্তি কচুপাতার পানির মতোই; গড়িয়ে পড়তে দেরি করে না। টলমলে জল যেমন কচু পাতায় থাকতে চায় না তেমনি আমাদের খালার ঘটনাটাও মানুষের স্মৃতিতে থাকতে চায় না।

আমি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের খালার বন্দীজীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটা অনুসন্ধান চালিয়েছি। আসলে অনুসন্ধান বললে বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। আমাদের জন্য অনুসন্ধান হলেও দেশের মানুষ কিন্তু সব জানে। অফ দ্য রেকর্ডে বলছি। পাকিপুরে একটাও রাজাকার ছিল না একাত্তরে, গ্রামের মুরব্বিরা আল্লাহর নামে কসম কেটে বলেছে আমাকে। তাছাড়া যে অস্ত্র দিয়ে গুলি বেরোয় সেটা দিয়েই নাকি জীবনে প্রথম তাদের অস্ত্র দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল একাত্তরের অগাস্টে— ওদের হাতে হাতে।



বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।