ঢাকা: বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান গবেষক আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের ১৪৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে একক বক্তৃতার আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এ বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে ‘ইতিহাসের গতি নির্ধারণে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ’ শীর্ষক একক বক্তৃতা উপস্থাপন করেন ড. ইসরাইল খান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সদ্যপ্রয়াত ইতিহাসবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক সালাহউদ্দীন আহমদের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করা হয় এবং তার স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
একক বক্তব্যে ড. ইসরাইল খান বলেন, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ ছিলেন বঙ্গীয় গবেষণা জগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাধক। পুঁথি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও গবেষণা ছিল তার আমৃত্যু ব্রত। পুঁথিচর্চাকে তিনি কেবল যান্ত্রিক কর্ম-জ্ঞান না করে সৃজনশীল মাত্রায় উন্নীত করেছেন।
তিনি বলেন, তার আবিষ্কৃত পুঁথিগুলোর মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস যেমন খণ্ডিত ধারণা থেকে মুক্ত হয়েছে তেমনি তার পাঠ-পাঠোদ্ধার ও টীকাটিপ্পনীসমৃদ্ধ বিপুল সংখক প্রবন্ধ উত্তরকালের সাহিত্য-গবেষকদের জন্য দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করছে।
ড. ইসরাইল বলেন, তথ্য অনুসন্ধানে নিরপেক্ষতা ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ সাহিত্যবিশারদকে বিশিষ্টতা দান করেছে। একই সঙ্গে তিনি একজন বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতিবিদ ও প্রাচ্য বিদ্যাবিশারদও ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে শামসুজ্জামান খান বলেন, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ ছিলেন এক বহুমাত্রিক গবেষক। মধ্যযুগের বিপুল সংখ্যক পুঁথি সংগ্রহ ও সম্পাদনায় তার তথ্যাভিজ্ঞ ও তত্ত্বপূর্ণ গবেষকদৃষ্টি বাংলা সাহিত্য-গবেষণায় নতুন ধারার সৃষ্টি করেছে।
অসাম্প্রদায়িক-ধর্মনিরপেক্ষ-সমন্বয়বাদী চিন্তাচেতনার ধারক আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদকে নিয়ে আরো বিভিন্ন মাত্রিকতায় গবেষণা হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৪